সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনা দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক মাদ্রাসার। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত সভাপতি আবদুল করিম।
জানা গিয়েছে, মাদ্রাসাটির দুটি শাখা রয়েছে। একটি ছাত্রীদের জন্য আবাসিক এবং অপরটি ছাত্রদের জন্য অনাবাসিক। আবাসিকে ১৫-১৬ জন কিশোরী থাকে। মাদ্রাসা সভাপতি আবদুল করিম রাতে প্রায় সময়ই আবাসিকে যাতায়াত করতেন এবং মেয়েদের সরবত খাওয়াতেন। অভিযোগ, ওই সরবতে মেশানো থাকত ঘুমের ওষুধ। যা খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়ত ছাত্রীরা। এর পরই নাকি তাদের ধর্ষণ করত অভিযুক্ত।
গত ৮ জুলাই সব ছাত্রীদের ছুটি দেওয়া হলেও তিন ছাত্রীকে সভাপতির নির্দেশে ছুটি দেওয়া হয়নি। মাদ্রাসা সভাপতি আবদুল করিম ওই রাতে গিয়ে ৩ কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ মেশানো সরবত খাওয়ায়। কিশোরীরা ঘুমিয়ে গেলে গভীর রাতে একজনকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি পরদিন জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ জানান এবং অভিযুক্ত বাড়ি ঘেরাও করেন। এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মইন উদ্দীন কাবুল বলেন, "আমরা এক শিক্ষককে ঘটনাটি তদন্তের জন্য ছাত্রীদের ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলতে বলি। তাদের সঙ্গে কথা বললে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তারা সভাপতির বিচার চেয়েছেন।" অভিযুক্ত সভাপতির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ঢাকা! বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের]
এদিকে দেশের পূর্ব জেলা কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ফেসবুকে পরিচয়ের পর তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মহম্মদ সুমন মিয়া নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই মাস আগে ফেসবুকে সুমনের সঙ্গে হোসেনপুর উপজেলার হোসেনপুর আদর্শ মহিলা কলেজের এক ছাত্রীর পরিচয় হয়। বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে গাজীপুরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তরুণী রাজি না হলে গত ৭ জুলাই সুমন তার সহযোগী মহম্মদ শামীমের সাহায্যে তরুণীকে অপহরণ করে। তার পর তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ১০ জুলাই বিকেলে সুমন পালিয়ে যেতে চাইলে তরুণীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। দুজনকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।