স্টাফ রিপোর্টার: একদিন আগে পরস্পরের প্রশংসা করার সময় দু'জনেই উল্লেখ করেছিলেন শেষ পর্যন্ত জয়ের খোঁজ চালিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বুধবার টাটা স্টিল চেস ইন্ডিয়ায় র্যাপিডের প্রথম রাউন্ডে অমিমাংসিত থাকল দু'জনের লড়াই।পাঁচ বছর পর কলকাতায় খেলতে এসে শুরুটা ড্র দিয়েই করলেন বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু ম্যাগনাস কার্লসেন।
এদিন ধনধান্য অডিটোরিয়ামে প্রথম ম্যাচেই তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। অসমবয়সী দুই দাবাড়ুর 'দ্বন্দ্ব' এখন আর নতুন বিষয় নয় দাবা দুনিয়ায়। তবে মঙ্গলবার প্রতিযোগিতার বাছাই তালিকা তৈরির অনুষ্ঠানে একে অপরকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন ম্যাগনাস ও প্রজ্ঞানন্দ। বিশ্বের কনিষ্ঠতম ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার প্রজ্ঞানন্দ যেমন বলছিলেন, "প্রতি পরিস্থিতিতেই ম্যাগনাস জিততে চায়। ওর এই মানসিকতা খুব ভালো লাগে। এমনকি মনে হয় আর জেতা সম্ভব নয়, সেখান থেকেও ও জেতার চেষ্টা করে।" প্রজ্ঞানন্দকে নিয়ে ম্যাগনাসও শুনিয়েছিলেন প্রায় একই কথা।
তবে এদিন ধনধান্য অডিটোরিয়ামে জয়ের জন্য বাড়তি তৎপরতা দেখালেন না দুই দাবাড়ুর কেউই। অতীতে বহুবার ম্যাগনাসকে হারালেও এদিন বিশ্বের এক নম্বরের সামনে একটু চাপেই ছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। শেষ দিকে বিশেষ সময়ও বাকি ছিল না তার হাতে। মাত্র বাইশ সেকেন্ড ছিল প্রজ্ঞানন্দর কাছে। সেখানে ম্যাগনাসের কাছে ছিল দু মিনিটেরও বেশি সময়। কিন্তু সকলকে অবাক করে ম্যাগনাসই প্রথমে ড্রয়ের কথা বলেন। তাতে সম্মতি জানান ভারতীয় দাবাড়ুও। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেন দু'জনে।
অবশ্য তিন রাউন্ড শেষে বেশ ভালো জায়গায় রয়েছেন ম্যাগনাস। প্রজ্ঞানন্দর পরে নেহাল সারিনের সঙ্গেও ড্র করেন তিনি। তৃতীয় রাউন্ডে হারিয়েছেন বিদিত গুজরাতিকে। তবে ২.৫ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দিনের শেষে শীর্ষে রয়েছেন উজবেকিস্তানের নডিরবেক আব্দুসাতারভ। রাশিয়ার ডানিল ডুভোবের সঙ্গে প্রথমে ড্র করেন তিনি। পরের দুই রাউন্ডে যথাক্রমে জার্মানির ভিনসেন্ট কেমার এবং প্রজ্ঞানন্দকে হারিয়েছেন তিনি। ভারতীয়দের মধ্যে চমক দিয়েছেন এস এল নারায়ণন। দুই পয়েন্ট নিয়ে ম্যাগনাস এবং ওয়েসলি সো-র সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে আছেন তিনি।
মেয়েদের বিভাগে প্রথম দিনের শেষে শীর্ষে রয়েছেন তিনজন। ভারতের বন্তিকা আগারওয়ালের মতোই ২ পয়েন্ট করে পেয়েছেন ক্যাটরিনা লাগনো এবং আলেকজান্দ্রা গরিয়াচকিনা। প্রথম ম্যাচ জেতার পর পরের দু'টি ড্র করেছেন বন্তিকা। এদিন প্রতিযোগিতা শুরু করেন টাটা স্টিলের ভিপি চানক্য চৌধুরী, এআইসিএফ সভাপতি নীতিন নারং সহ অন্যরা।