বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: প্রবল তাপপ্রবাহে নাজেহাল রাজ্যবাসী। তবে রবিবার বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর ইঙ্গিত দিয়েছে আগেই। যদিও শেষপর্যন্ত বৃষ্টি হবে কি না, এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে। একটু বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় মানুষ। এবার সেই বৃষ্টির জন্যই মহা শান্তি যজ্ঞ হল নদিয়ায়। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে চলল যজ্ঞ।
দেবীকালিকার মূর্তির সামনে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছিল যজ্ঞ। শেষ হয় রাত প্রায় ৯ টা নাগাদ। প্রায় ১৪ ঘন্টা ধরে চলে যজ্ঞ। সমস্ত রকম আচার মেনে যজ্ঞ করে বৃষ্টির কামনায় দেওয়া হয় আহুতি। নদিয়ার শান্তিপুরের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগদেবীপুর গ্রামে চিত্তরঞ্জন সরকারের বাড়ির পুজোয় বেথুয়াডহরি, কৃষ্ণনগর নবদ্বীপ, বর্ধমানের কালনা ও শান্তিপুর থেকে গিয়েছিলেন ৫ জন পুরোহিত। দেবী কালিকার সামনে দীর্ঘক্ষনের যজ্ঞের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজির ছিলেন একাধিক মানুষ। যজ্ঞে আহুতি দেওয়ার পর ভাত, ডাল এবং সবজি সহকারে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। যজ্ঞের অন্যতম পুরোহিত রামানন্দ অধিকারী জানিয়েছেন, “তীব্র দাবদাহে মানুষের যখন ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে, তখনই আমরা শান্তিদেবীর কাছে প্রার্থনা জানিয়ে শান্তি মঙ্গল যজ্ঞ করলাম। দেবী কালিকার কাছে যজ্ঞের মাধ্যমে আমরা প্রার্থনা করলাম, গরমে কাহিল হয়ে পড়েছে বিশ্ববাসী, অনাবৃষ্টির হাত থেকে তাদের রক্ষা করো মা। বৃষ্টি এনে দিয়ে মানুষের মঙ্গল করো। শুধু মানুষের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বে বিভিন্ন প্রাণীদের মঙ্গল কামনার্থেও আমরা এই যজ্ঞ করলাম।
[আরও পড়ুন: আচমকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, ৪ নাবালক-সহ ১৬ জনকে তড়িঘড়ি আনা হল এসএসকেএমে]
গৃহকর্তা চিত্তরঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, প্রায় ২০ বছর আগে একবার অনাবৃষ্টির কারণে এই রকমের যজ্ঞ করা হয়েছিল। এবার অনাবৃষ্টির হাত থেকে মুক্তি পেতে এবং বৃষ্টির প্রার্থনায় শান্তি যজ্ঞ করা হল। কারণ, গত কয়েকবছরের মধ্যে এত গরম পড়েনি। এবার তাপমাত্রা যেন মাত্রাছাড়া। এদিন যজ্ঞের শেষে উপস্থিত ভক্তদের আহারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রচণ্ড গরমের জন্য খিচুড়ির বদলে ভাত, ডাল, সবজির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।