সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন তিনেক আগেই বিজেপির 'বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে' স্লোগানের বিরোধিতা করেছিলেন। এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সভায় গরহাজির থাকলেন এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার (Ajit Pawar)। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের মুখে মহাজুটিতে ভাঙনের জল্পনা জোরাল হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি পার্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাকে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। তাতে ডাকা হয়েছিল জোটসঙ্গীদেরও। সেই জোটসঙ্গীদের মধ্যে একনাথ শিণ্ডে, রামদাস আটাওয়ালেরা উপস্থিতও ছিলেন ওই সভায়। ছিলেন না শুধু অজিত। তাঁর দলের অন্য নেতারাও ছিলেন না। স্বাভাবিকভাবেই জোটে ভাঙনের জল্পনা বাড়ছে।
আসলে অজিত পওয়ার বিজেপির সঙ্গে জোটে থাকলেও আদপে তিনি ধর্মনিরপেক্ষ মানসিকতার। তাঁর ভোটব্যাঙ্কও তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ। তাছাড়া ইদানিং মহারাষ্ট্রের 'মহাজুটি'তে তিনি বেশ কোণঠাসা। একে তো জোটে তাঁকে সবচেয়ে 'জুনিয়র শরিক' হিসাবে ধরা হয়। তার উপর বিজেপির একের পর এক সিদ্ধান্ত তাঁর উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত লোকসভা নির্বাচনেও অজিতের 'অনিচ্ছা'য় সুপ্রিয়া সুলের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী সুনেত্রাকে প্রার্থী করতে বাধ্য হয়েছিলেন অজিত। সেটা যে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, তা মেনে নিয়েছেন অজিত নিজেও।
কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই অজিত একটু 'বেসুরো'। বিজেপির প্রবল আপত্তি উড়িয়ে তিনি টিকিট দিয়েছেন নবাব মালিককে। দাউদ ঘনিষ্ঠ অপরাধে জেল খাটা নেতার মেয়েকেও টিকিট দিয়েছে অজিতের দল। আবার প্রকাশ্যে বিজেপর 'বিভেদকামী' স্লোগান 'বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে'র বিরোধিতা করেছেন অজিত। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া এক হ্যায় তো সেফ হ্যায় স্লোগানেরও বিরোধিতা করেছেন। মারাঠা রাজনীতিতে গুঞ্জন, ভোটের পর অজিত যে বিজেপির সঙ্গেই থাকবেন, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। সুযোগ বুঝে ফের কাকার দিকে ঝুঁকতে পারেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সভায় তাঁর অনুপস্থিতি সেই জল্পনাই উসকে দিল।