সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, ভগবান যখন দেন, তখন ছপ্পড় ফুঁড়েই দেন। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পালঘরের কয়েকজন মৎস্যজীবী (Fisherman) যখন মাছ ধরতে গিয়েছিলেন, তাঁরা ভাবেনওনি রাতারাতি জীবন বদলে যেতে চলেছে। গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে বিভিন্ন মাছের সঙ্গে তাঁরা ধরে ফেলেন ১৫৭টি ঘোল মাছ। আর সেই মাছগুলি বিক্রি হয় ১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকায়। যার ফলে চোখের নিমেষেই বদলে গিয়েছে ওই মৎস্যজীবীদের জীবন।
অথচ বৃষ্টি-দুর্যোগের ধাক্কায় মহারাষ্ট্রে মাছ ধরা প্রায় নিয়মিতই নিষিদ্ধ থেকেছে। ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে মৎস্যজীবীদের। ফলে সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছিল না চন্দ্রকান্ত তারের। ওই মৎস্যজীবী গত বেশ কয়েকদিন নিষেধাজ্ঞার কারণে মাছ ধরতে যেতে পারেননি। অবশেষে নিষেধাজ্ঞা উঠলে তিনি তাঁর আট সহকর্মীর সঙ্গে মাছ ধরতে যান গত ২৮ আগস্ট। দীর্ঘদিন পরে মাছ ধরতে গিয়েই তাঁরা যে এমন অভাবনীয় অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন কে ভেবেছিল। সন্ধ্যাবেলায় মাছ ধরতে বের হন তাঁরা। আর তাঁদের ফেলা জালেই উঠে আসে দুর্মূল্য ঘোল মাছগুলি।
[আরও পড়ুন: Viral Video: সে কী! সিলিং থেকে ঝুলছে কিশোরীর মাথা! ব্যাপারটা কী?]
পালঘরের মুরবে এলাকায় নিলামে তোলা হয় মাছগুলি। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের ব্যবসায়ীরা কিনেছেন মাছগুলি। এই মাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস’। ঘোল মাছকে বলা হয় ‘সমুদ্রের সোনা’। আসলে ওষুধ, প্রসাধন কিংবা দেহের সঙ্গে মিশে যাওয়া সুতো তৈরি- নানা ভাবে ব্যবহৃত হয় এই মাছের শরীরের বিভিন্ন অংশ। সেই কারণেই এই মাছের এত চাহিদা। বিশেষত হংকং, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও জাপানের মতো দেশে ঘোল মাছের চাহিদা বিপুল।
অথচ দূষণের ধাক্কায় এই মাছগুলি ক্রমেই দুর্লভ হয়ে গিয়েছে। তবে গভীর সমুদ্রে এখনও মেলে ঘোল মাছ। এবার তাই সেখানেই একসঙ্গে এতগুলি ঘোল মাছ পেয়েই প্রবল লাভ করলেন চন্দ্রকান্ত ও তাঁর সঙ্গীরা।