সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট বড় বালাই। তাই নির্বাচনের প্রাক্কালে 'হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী' মহারাষ্ট্রের এনডিএ সরকারের কাছে 'অচ্ছুৎ' নন মুসলিমরাও। রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটকে কাছে টানতে ভোটের আগে এবার বড় ঘোষণা করল একনাথ শিন্ডের সরকার। রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো হল ৩ গুণ। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে, সংখ্যালঘু তহবিলে অর্থের পরিমাণ।
চলতি বছরেই মহারাষ্ট্রে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তবে দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই একের পর এক সামাজিক প্রকল্পে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে খুশি করতে উঠে পড়ে লেগেছে শিন্ডের সরকার। সম্প্রতি ধাঙড় গোষ্ঠীর ভোটকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের তপসিলি জনজাতি (এসটি) সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একনাথ শিন্ডের সরকার। যা নিয়ে বিদ্রোহ কিছু কম হয়নি। সেই ধারা অব্যাহত রেখে এবার ওবিসি, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য একাধিক প্রস্তাবে অনুমোদন দিল সেখানকার সরকার। মূলত জনকল্যাণ মূলক ৮০টি প্রস্তাব পেশ হয়েছিল সরকারের কাছে। বৃহস্পতিবার ক্যাবিনেট বৈঠকে তার মধ্যে ৩৮টি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি। এখানে মাদ্রাসার ডিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকদের বেতন যেখানে মাসে ৬ হাজার টাকা ছিল সেটা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। বিএড ও বিএসসি বিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকদের বেতন ৮হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি, নন ক্রিমি লেয়ার আয়ের সীমা ৮ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ১৫ লক্ষ করা হয়েছে। আদিবাসী উন্নয়নের লক্ষ্যে শবরী ট্রাইবাল ফিনান্স কর্পোরেশনে আর্থিক অনুদানের পরিমাণ ৫০ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০০ কোটি। পাশাপাশি সংখ্যালঘু উন্নয়নে আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ ৭০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০০০ কোটি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ভোটের মুখে কার্যত কল্পতরুর ভূমিকায় দেখা গেল শিন্ডে সরকারকে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর শেষ হচ্ছে মহারাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের মেয়াদ। তার আগেই হবে বিধানসভা নির্বাচন। তবে সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বর্তমান এনডিএ সরকার বেশ বুঝতে পেরেছে হাওয়া তাদের দিকে নেই। এই পরিস্থিতিতে ভোটের মুখে হিন্দু ভোটকে কাছে টানতে দেশি গরুকে 'রাজ্য মাতা' হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ধাঙড় সম্প্রদায়কে গুরুত্ব দিয়ে তপসিলি জনজাতি (এসটি) সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার আদিবাসী, ওবিসি ও মুসলিম সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট করতেও কোনও খামতি রাখছে না মহারাষ্ট্রের এনডিএ সরকার।