সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক আন্দোলনকে (Farmers Protest) সমর্থন করে টুইট করেছিলেন রিহানা-গ্রেটা থুনবার্গরা। পালটা টুইটে ‘ঐক্যবদ্ধ ভারত’ গড়ার ডাক দেন শচীন তেণ্ডুলকর (Sachin Tendulkar), লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar), অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar), বিরাট কোহলির (Virat Kohli) মতো তারকারা। কিন্তু এই নিয়েই বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। আর একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবার সেই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh)।
বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা। তাঁরা সমর্থন পেয়েছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেও। রিহানা-গ্রেটা থুনবার্গ-সহ অনেক তারকাই টুইট করে কৃষকদের সমর্থন জানান। এরপরই পালটা টুইট শচীনদের। দেখা যায়, প্রত্যেকের টুইটই কার্যত একরকম। এই প্রসঙ্গে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, কোনওপ্রকার চাপের মুখে পড়েই কি টুইট করেছেন এই তারকারা? এবার সেটিরই তদন্তে নামছে মহারাষ্ট্র সরকার।
[আরও পড়ুন: নেতাজিকে ভুলেছে দেশ! সংসদের জবাবি ভাষণ থেকে বাংলার গণতন্ত্র নিয়েও খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর]
এই প্রসঙ্গে উদ্ধব সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানান, শচীন তেণ্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকর, সুনীল শেট্টি, বিরাট কোহলি, অক্ষয় কুমার এবং অন্য তারকারা যাঁরা রিহানা-গ্রেটাদের টুইটারে জবাব দিয়েছেন, সেই সমস্ত টুইটের তদন্ত হবে। মোদি সরকারের চাপের কারণে তারকাদের ওই টুইটগুলো করতে হয়েছে নাকি, তাঁরা কেবল কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদ করতেই টুইটগুলো করেছেন, সেটাই খতিয়ে দেখা হবে।
এর পাশাপাশি কেন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? তার পাঁচটি কারণও উল্লেখ করেছেন তিনি।
১. বিরাট কোহলি এবং লতা মঙ্গেশকর-দু’জনের টুইটেই ‘Amicable’ শব্দটি ছিল, এমনকী টুইটের ভাষাও একইরকম ছিল।
২. অভিনেতা সুনীল শেট্টি নিজের টুইটে বিজেপি নেতা হিতেশ জৈনকে ট্যাগও করেন, যা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
৩. অক্ষয় কুমার এবং সাইনা নেহওয়ালের টুইটও একইরকম।
৪. #IndiaAgainstPropaganda- প্রত্যেকেই এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন।
৫. টুইটগুলোর বিষয় এবং সেটি করার সময়ও একই ছিল। যা দেখে বোঝা যায়, মোদি সরকারের চাপেই এই কাজ করেছেন তারকারা।
[আরও পড়ুন: জোর লাগাকে হেইসা! সুড়ঙ্গে আটক যুবককে দুঃসাহসিকভাবে উদ্ধার ITBP’র, ভাইরাল ভিডিও]
এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের (Congress) মুখপাত্র শচীন সাওয়ান্ত বলেন, “শচীন তেণ্ডুলকর বা লতা মঙ্গেশকর, কখনওই কারওর মৃত্যুতে টুইট করেন না। কিন্তু আচমকাই কেন্দ্রের সমর্থনে তাঁদের এই টুইট। তাই এর বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা কারওর বাক স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। কিন্তু টুইটগুলো দেখলেই বোঝা যায়, মোদি সরকার ‘ভারতরত্ন’ পাওয়া তারকাদেরও নিজেদের সমর্থনে টুইট করতে চাপ দিয়েছে।” এদিকে, এই প্রসঙ্গে আবার পালটা বিবৃতি দিয়েছে বিজেপিও। ইতিমধ্যে তারকাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তদন্ত বন্ধের দাবিও তুলেছেন তাঁরা।