সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গঙ্গারাম’-এর মতো উনিশটিবার ম্যাট্রিকে ফেল করেননি। বিদ্যে-বুদ্ধির বহরও বেশ ভালই। লাইব্রেরি সায়েন্সে মাস্টার ডিগ্রি রয়েছে। আবার এডুকেশনে ডিপ্লোমাও করেছেন। মাস গেলে রোজগারও তেমন মন্দ নয়। ২০ হাজার টাকা তো ঘরে চলেই আসে। মধ্যবিত্ত পরিবারের তাতে কোনওমতে হলেও চলে যাওয়ার কথা। সুপাত্র হওয়ার সমস্ত গুণ রয়েছে মহারাষ্ট্রের কিশোর সাভালের। কিন্তু কোনও পাত্রীই বিয়ে করতে রাজি হচ্ছেন না। নাহ, কোনও শারীরিক ত্রুটিও নেই। দেখতে-শুনতেও যে মন্দ তাও নয়। তাহলে কেন বারবার এই প্রত্যাখান। কারণ ৩২ বছরের যুবক পেশায় কৃষক। আর এটাই বিবাহযোগ্যা পাত্রী ও তাঁর পরিবারের আপত্তি।
[কমলা মিলস অগ্নিকাণ্ড: দুই ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ]
একদিন নয় গত চার বছর ধরে একাধিক পাত্রীর মুখে এই আপত্তি শুনতে হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের মতো এলাকায় প্রায় আট একর জমি রয়েছে তাঁর। যার মূল্য ১.২ কোটি টাকা। আবহাওয়ার বেশ প্রতিকূল ছিল এবার। মরশুমের খামখেয়ালি স্বভাব সত্ত্বেও মাসে ২০ হাজার টাকারও বেশি রোজগার করেছেন কিশোর। কিন্তু এরপরও তাঁকে পাত্রী দিতে রাজি নন কেউ। কারণ সে পেশায় কৃষক। সামান্য পিওন কিংবা ব্যবসায়ী হলেও মেয়ের বিয়ে দেওয়া যায় সে ঘরে। কিন্তু কৃষকের ঘরে মেয়ে কোনওমতেই দেওয়া যায় না। বারবার এই কথা শুনতে হয়েছে কিশোরকে। অবসাদে এখন যুবক কৃষিকাজ ছেড়ে দেওয়ারই কথা ভাবছেন।
[পাক হামলা চলছেই, সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ কংগ্রেস নেতার]
শুধু কিশোর নয় অনেকেরই এমন হাল। কর্ণাটকের বিশ্বাস বেলেকরকেও এই এক কথা শুনতে হয়েছিল। যার জন্য কৃষিকাজ সেরে এক বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বাস। তারপর বিয়ে হয়েছিল তাঁর। পরে অবশ্য ফের কৃষিকাজে ফিরে যান তিনি। কিন্তু সারা দেশে এমন অনেক যুবক রয়েছেন যাঁরা আর ফিরে যাননি কৃষিকাজে। সমীক্ষা বলছে, ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে প্রায় ৯০ লক্ষ কৃষক নিজের পেশা ছেড়েছেন। উর্বর জমি বেচে দিয়েছেন। অবশ্য প্রত্যেকেরই নিজস্ব কারণ রয়েছে। তবে পরিসংখ্যানে বেশ চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। ফসল ফলানোর মানুষ থাকলে অন্ন জোগাবে কারা? এই প্রশ্নই তুলেছেন তাঁরা।
[রেলে ব্যাপক কেলেঙ্কারি, সিবিআইয়ের নজরে তৎকাল বুকিং সফটওয়্যার]
The post রোজগার মাসে ২০ হাজার টাকা, তবু কেন পাত্রী জুটছে না এই যুবকের? appeared first on Sangbad Pratidin.