সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই মণ্ডপে একসঙ্গে যমজ বোনের গলায় মালা দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এক ব্যক্তি। বিয়ের কথা জানাজানি হতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এবার ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল শোলাপুর পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই আইন অনুযায়ী, একসঙ্গে দু’জনকে বিয়ে করলে সাত বছর পর্যন্ত জেলের সাজা হতে পারে। প্রসঙ্গত, দুই পরিবারের সম্মতিতেই এই বিয়ে হয়েছিল। এক নিমন্ত্রিতের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে নতুন বরকে।
শোলাপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অতুল নামের ওই ব্যক্তিকে। একসঙ্গে দু’জনকে বিয়ে করা আইনত অপরাধ, এই কারণ দেখিয়েই আটক করা হয় তাঁকে। আইনজীবীদের মতে, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য আবেদন করতে পারেন অতুল। কিন্তু দুই সাবালিকাকে বিয়ে করার কারণে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। শাস্তির মুখে পড়তে পারেন দুই যমজ বোনও। বহুগামিতার অভিযোগে তাঁদেরও দোষী সাব্যস্ত করা যেতে পারে। আইন অনুযায়ী মান্যতা পাবে না এই বিয়ে। সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে তিন জনের।
[আরও পড়ুন: গুজরাটে ভোট দিতে গিয়ে মোদির ‘রোড শো’! সরব মমতা, কমিশনে আপ-কংগ্রেস]
গত শুক্রবার প্রায় ৩০০ জন অতিথিকে ডেকে ধুমধাম করে তিনজনের বিয়ের (Maharashtra Marriage) অনুষ্ঠান হয়। একজন অতিথি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই যমজ বোনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অতুল। পরবর্তীকালে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এক বোন। তবে শর্ত দেন, একই সঙ্গে তাঁর যমজ বোনকেও বিয়ে করতে হবে। কারণ বিয়ের পরে একে অপরকে ছেড়ে থাকতে পারবেন না দুই বোন। অতুল ও তাঁর পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। বিয়ে নিয়ে কোনও আপত্তি ছিল না দুই বোনের পরিবারেও।
প্রসঙ্গত, যমজ বোনের নাম পিঙ্কি ও রিঙ্কি। সোলপুরের আকলুজ গ্রামের বাসিন্দা দুই বোন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় উচ্চপদে নিযুক্ত রয়েছেন তাঁরা। কর্মসূত্রে মুম্বইতে থাকেন দুই বোন। তাঁদের মালাবদলের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। নেট দুনিয়ায় অবশ্য এই বিয়ে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। অনেকেই এহেন অদ্ভূত বিয়েকে সমর্থন জানিয়েছেন। আবার সাধারণ মানুষের নিন্দার মুখেও পড়েছেন তিনজন। তবে এবার নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। আটক করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। তবে দুই বোনের বিরুদ্ধে এখনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।