সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’। অর্থাৎ, একসঙ্গে থাকলেই নিরাপদে থাকবেন। মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেই সুকৌশলে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলা ভালো, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের 'কাটেঙ্গে তো বাটেঙ্গে' স্লোগানের মতোই নয়া স্লোগান তোলার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যাশিতভাবেই মোদির সেই স্লোগানের পালটা এল বিরোধী শিবির থেকে। শিব সেনার ইউবিটির নেতা সঞ্জয় রাউত বলছেন, মহারাষ্ট্রের মানুষ সুরক্ষিত। তবে মহারাষ্ট্র 'আনসেফ' হয় তখনই যখন প্রধানমন্ত্রী সে রাজ্যে যান।
শুক্রবার, মহারাষ্ট্রের ধুলেতে প্রথম নির্বাচনী জনসভা করেন মোদি। সেখানেই তিনি বলেছেন, “ঐক্যবদ্ধ থাকলেই আমরা নিরাপদ থাকব। আগে ওরা ধর্মের নামে যুদ্ধ করত। সে কারণে দেশ ভাগ হয়। এখন ওরা জাতপাতের লড়াই করছে। এটা ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।” কংগ্রেসের জাতি গণনার দাবিকে তুলোধোনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতি গণনার দাবি তুলে কংগ্রেস বিভিন্ন জাতকে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়ার বিপজ্জনক খেলা খেলছে বলেই সরব হন তিনি। জাতিগণনা-সহ একাধিক বিষয়ে তোপ দাগেন মোদি।
পালটা শিব সেনার উদ্ধব শিবিরের নেতা সঞ্জয় রাউত শনিবার বললেন, "আমি বুঝতে পারছি না, এই ধরনের কথা প্রধানমন্ত্রী কেন বলছেন? আসলে আগে যে কাটেঙ্গে তো বাটেঙ্গের স্লোগান দিয়েছিল, সেটা ব্যর্থ হয়েছে তাই হয়তো নতুন স্লোগান দেওয়ার চেষ্টা।" রাউতের সাফ কথা, "মহারাষ্ট্র যথেষ্ট নিরাপদ। কিন্তু যখনই মোদি এখানে আসেন, মহারাষ্ট্র 'আনসেফ' হয়ে যায়। কারণ প্রধানমন্ত্রী বিভাজনের বীজ বপন করেন, অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেন।" রাউত বলছেন, "যদি মহারাষ্ট্রকে প্রকৃত অর্থে নিরাপদ করতে হয়, তাহলে বিজেপিকে বিদায় করতে হবে।"
আসলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে জাতগণনার দাবি তুলে মহারাষ্ট্রে বিজেপির 'হিন্দুত্ব' ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরাতে পেরেছিল কংগ্রেস। অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল সংঘ তথা বিজেপির হিন্দু ঐক্যের ডাক। লোকসভা ভোটের আগে ফের সেই হিন্দু ঐক্যকে পুনরুত্থান করতে মরিয়ে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই কৌশলে প্রধানমন্ত্রী ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ স্লোগান দিয়েছেন। সেটারই পালটা এল বিরোধী শিবির থেকে।