সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী পেতে চলেছে মহারাষ্ট্র- ব্যঙ্গ করে এমনই মন্তব্য করলেন শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। রবিবারই আচমকা মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার। তারপরেই এই কথা শোনা যায় উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের নেতা সঞ্জয়ের (Sanjay Raut) মুখে। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, কিছুদিন পরে একই কাণ্ড ঘটতে পারে বিহারেও (Bihar)। একসঙ্গে বিরাট সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন আদায় করতে পারে বিজেপি। তার ফলেই মহাজোটের সরকার ফেলে দিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে পারে গেরুয়া শিবির।
রবিবার শপথ নেওয়ার পরেই অজিত পওয়ার-সহ ৯ বিধায়কের পদ খারিজ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে এনসিপি। তারপরেই সঞ্জয় রাউত বলেন, “আমি আজ ক্যামেরার সামনে বলছি, কয়েকদিন পরেই মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী বদলে যাবে। কারণ শিব সেনার যে ১৬ বিধায়ককে নিয়ে একনাথ শিণ্ডে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন, তাঁদের সকলেরই পদ খারিজ করে দেবে সুপ্রিম কোর্ট। তার ফলে বিজেপির সরকার পড়ে যেতে পারে। সেই অবস্থা সামাল দিতেই অজিত পওয়ারদের (Ajit Pawar) মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘মুসলিমবিদ্বেষী আচরণ মেনে নেওয়া হবে না’, কোরান পোড়ানোর তীব্র নিন্দা সুইডেনের]
তবে এই মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde)। প্রাক্তন সতীর্থের মন্তব্যকে কটাক্ষ করে তাঁর দাবি, “প্রথম দিন থেকেই তো বিরোধীরা সরকার পতনের দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলেছে। বারবার তাঁদের কথা ব্যর্থ হচ্ছে দেখে তাঁরা নিশ্চয়ই খুব হতাশ হয়েছেন। ভাবছি কোন জ্যোতিষী তাঁদের এরকম ভুল পরামর্শ দেন।” প্রসঙ্গত, শিব সেনার (Shiv Sena) মুখপত্র সামনাতেও অজিত পওয়ারের আচরণের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। সামনায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুধু মহারাষ্ট্র নয় সারা দেশের রাজনীতিকে কালিমালিপ্ত করছেন।
শুধু মহারাষ্ট্র নয়, বিহারেও একই কৌশল নিতে চলেছে গেরুয়া শিবির, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। দীর্ঘদিনের জোট সঙ্গী বিজেপিকে (BJP) ছেড়ে কংগ্রেস ও আরজেডির সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। এই ঘটনা একেবারেই ভালভাবে নেয়নি গেরুয়া শিবির। শোনা যাচ্ছে, প্রাক্তন জোটসঙ্গী জেডিইউর বেশ কয়েকজন বিধায়কের সমর্থন জোগাড় করেছে বিজেপি। তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে জিতনরাম মাঁঝির দল হামও। একসঙ্গে একঝাঁক জেডিইউ বিধায়কের সমর্থন পেলে দলত্যাগবিরোধী আইনও কার্যকর হবে না। সবমিলিয়ে, মহারাষ্ট্রের ধাঁচে বিহারেও সরকার ভেঙে পড়তে পারে বলেই অনুমান রাজনীতিকদের।