সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনে তারা বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করেছে। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও মহারাষ্ট্রে এখনও সরকার গঠনের দিকে এগোতে পারেনি মহাজুটি। বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট শপথগ্রহণ নতুন মুখ্যমন্ত্রীর। আজাদ ময়দানের মঞ্চে নামভূমিকায় কাকে দেখা যাবে তা নিয়ে সংশয় অব্যাহত। যদিও মঙ্গলবাসরীয় সন্ধ্যায় বৈঠকে বসবেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস, অজিত পওয়ার এবং একনাথ শিণ্ডে। আর সেই বৈঠকেই নাকি স্থির হয়ে যাবে মহারাষ্ট্রে মহাজুটির মসনদে কে বসতে চলেছেন। শিণ্ডেই প্রত্যাবর্তন করবেন, নাকি নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ফড়ণবিস। অজিত পওয়ারের নাম অবশ্য নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর মধ্যেই খবর, শিণ্ডে নাকি হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন।
দিন কয়েক আগে দিল্লিতে অমিত শাহর বাড়িতে যে বৈঠক হয়েছিল, তার পরই যাবতীয় জট কেটে যাবে বলে আশায় ছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু শেষপর্যন্ত দেখা যায়, বৈঠকের পরই বেসুরো বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিণ্ডে। তিনি দিল্লি থেকে ফিরেই চলে যান সাতারায় তাঁর দেশের বাড়িতে। এমনও শোনা যায়, শিণ্ডে অসুস্থ। অবশেষে সোমবার তিনি ফিরেছেন মুম্বইয়ে। কিন্তু কারও সঙ্গে দেখা করেননি। মহাজুটির বৈঠকেও যাননি। ফলে বাড়ছে সাসপেন্স। যদিও এই মুহূর্তে লড়াইয়ে ফড়ণবিসই এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যেই খবর, শিণ্ডে নাকি জুপিটার হাসপাতালে গিয়েছেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে। তাঁকে ভর্তিও করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে শিব সেনা নেতা দীপক কেসারকার দাবি করেছেন, ''একনাথ শিণ্ডের কারণেই সরকার গড়া যাচ্ছে না, একথা বলা ভুল। বিজেপি পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছে। শিগগিরি মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বেছে নেওয়া হবে।'' বলে রাখা ভালো, বিজেপি মহারাষ্ট্রে পরিষদীয় দলের বৈঠকে পর্যবেক্ষক হিসাবে পাঠাল নির্মলা সীতারমণ এবং বিজয় রুপাণিকে। দুজনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিশ্বস্ত। নির্মলা দীর্ঘদিন কাজ করছেন অর্থমন্ত্রী হিসাবে। আর রূপাণি কাজ করেছেন মোদি-শাহর নিজের রাজ্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। মোদি-শাহদের বিশ্বস্ত দুই দূতের মূল কাজ হল মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়কদের নেতা নির্বাচন করা।
এদিকে মঙ্গলবার বিজেপির সদর দপ্তরে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়েছে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে। যদিও সকলের চোখ আজকের সন্ধ্যার দিকেই। শিণ্ডে-অজিত-ফড়ণবিসের ওই বৈঠকেই জট কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে। শেষপর্যন্ত সেটাই হয় কিনা আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।