সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী অনন্ত দেহাদ্রি। নিয়মভঙ্গের ওই অভিযোগেই সংসদ থেকে বিতাড়িত (Expelled) হন মহুয়া। নিশিকান্ত ও অনন্তের ওই দাবির বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court) মামলা করেছিলেন নেত্রী। যদিও আদালতে বড় ধাক্কা খেলেন তিনি। মহুয়ার আবেদন খারিজ হয়ে গেল।
আগেও তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে বিভ্রান্তিকর, অসত্য এবং গোপন রিপোর্ট প্রকাশ্যে চলে আসছে। যা তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। পাশাপাশি এতে মহুয়ার সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে সম্মানহানিরও আশঙ্কা রয়েছে। ইডি এবং মোট ১৯টি সংবাদমাধ্যম যাতে কোনওরকম গোপন তথ্য প্রকাশ না করে, সেই দাবিতেও উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন মহুয়া। যদিও সেই আবেদনও কাজে আসেনি। এবারও নেত্রীর যুক্তি ধোপে টিকল না।
[আরও পড়ুন: ‘হেনস্তাই উদ্দেশ্য হলে সাহায্য করতাম না’, মালদ্বীপের ভারত-বিরোধিতায় খোঁচা জয়শংকরের]
সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে সরকারি বাংলো ছাড়তে বলেছিল ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট। কিন্তু তিনি সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। হাই কোর্ট সেই সময় হস্তক্ষেপ করেনি। এই বিষয় নিয়ে মহুয়াকে ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের কাছেই আবেদন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে মামলাটিকে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেয় উচ্চ আদালত। সেইমতো মহুয়া ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের (DoE) কাছে আবেদন করেন। তাতে লাভ হয়নি। বর্তমানে সব দিক থেকেই কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছেন কৃষ্ণনগরের ৪৯ বছর বয়সি নেত্রী।