অর্ণব আইচ: বড়তলা মহিলা খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে প্রাণ গিয়েছে বধূর। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। লাভা থেকে অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বড়তলায় মহিলা খুনের তদন্তে নেমেই সৌমিক চট্টোপাধ্যায় নামে এক যুবকের হদিশ পায় তদন্তকারীরা। জানতে পারেন, এই যুবক মাঝে মধ্যে মৃতার বাড়িতে আসত। তাঁর স্বামীর সঙ্গেও পরিচয় ছিল। এর পরই সৌমিকের বাড়িতে যায় পুলিশ। জানতে পারে সে নেই। এর পরই ‘নেই মানেই আছে’ তত্ব ধরে এগোতে শুরু করে পুলিশ। বাইকের নম্বর অনুযায়ী খোঁজ শুরু হয় সৌমিকের। জানা যায়, শিলিগুড়ি হয়ে লাভার হোটেলে আত্মগোপন করেছে সে। এরপরই সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার পরই প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
[আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ‘আমি ধর্মের রাজনীতি করি না’, ডায়মন্ড হারবার থেকে বিজেপিকে তোপ অভিষেকের]
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে ফেসবুকে মৃতার সঙ্গে পরিচয় হয় সৌমিকের। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজনে। পরবর্তীতে ২০২০ সালে বিয়ে করে সৌমিক। তার পর মৃতার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বছর দুয়েক পর সৌমিকের স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সূত্রের খবর, বিচ্ছেদের পর ফের প্রাক্তন প্রেমিকাকে বিরক্ত করে শুরু করে সৌমিক। মহিলা তাতে রাজি হননি। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন ছেলে বড় হয়েছে। সেই কারণেই সৌমিকের রাগ তৈরি হয় মৃতার ছেলের প্রতি। তাই নাবালককে খুনের ছক। তবে ঘটনাচক্রে মৃত্যু হয় বধূর। এদিকে গ্রেপ্তারির পর জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে সৌমিত্র। জানিয়েছে, ধরা না পড়লে এদিন প্রাক্তন স্ত্রী, তাঁর বর্তমান স্বামী এবং ও তাঁদের শিশুকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল তার। তবে তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যাওয়ায় ভেস্তে গেল ছক।