শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: সালিশি সভায় যুগলকে তালিবানি কায়দায় নির্মম অত্যাচারের ঘটনায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। পুলিশের জালে জেসিবি ওরফে তাজমুল হক ভোলা। নির্মম অত্যাচারের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মহিলাকে বেধড়ক মারধর করতে দেখা গিয়েছে তাকে। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। স্থানীয়দের দাবি, ধৃত জেসিবি চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুর রহমানের ‘ডান হাত’ নামে পরিচিত। যদিও জেসিবিকে চেনেন না বলেই দাবি বিধায়কের।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মাটিতে ফেলে এক যুবক ও যুবতীকে লাগাতার লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করছেন জেসিবি। চারিদিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন মহিলা-সহ অসংখ্য মানুষজন। অথচ কেউ রক্ষা করার জন্য এগিয়ে যেতে দেখা যায়নি। থামাননি কেউ। না। বরং যুগলকে পাশবিকভাবে মারধরের মর্মান্তিক দৃশ্য রীতিমতো তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন ওই তরুণ-তরুণী। তার পর গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়।
[আরও পড়ুন: দম্পতি পরিচয়ে লজে যৌনতা? বর্ধমানের মহিলাকে ‘খুন’ করে উধাও পুরুষসঙ্গী]
জেসিবি চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুর রহমানের ‘ডান হাত’ নামে পরিচিত হওয়ায় এলাকায় তাঁর আস্ফালন কার্যত ভয়ংকর। সেই ব্যক্তি আইনের পরোয়া না করে তাঁদের দুজনকে মারধর করে বলেই অভিযোগ। চারিদিকে কয়েকশো মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ তাঁদের উদ্ধার করেনি। এই ঘটনার পর অবশ্য গা ঢাকা দেয় জেসিবি। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে না গিয়ে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার ঘটনায় তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে জেলাজুড়ে। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিওটি পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে নিশানা করেন। ঘটনার প্রতিবাদে সরব সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমও।