জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: এটিএম (ATM) কার্ড ব্যবহারে তেমন সড়গড় নন, এমন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের টার্গেট করে এটিএম জালিয়াতি। একাধিক জেলায় বড়সড় চক্র পরিচালনা করা। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। অভিযোগ পেয়ে বনগাঁর (Bongaon) বাগদা থানার পুলিশ তদন্তে নামতেই হাতেনাতে ধরা পড়ল এটিএম জালিয়াতি চক্রের মূল পান্ডা। অভিজিৎ বৈদ্য নামে এক যুবককে গোপালনগরের পাল্লা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শনিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। আপাতত তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। খোঁজ চলছে চক্রের অন্যান্য সদস্যদের।
এলাকার বৃদ্ধ বা বৃদ্ধারা এটিএম কাউন্টারের টাকা তুলতে গেলে, চক্রের সদস্যরা তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে যেত। পিন কোড জেনে টাকা তুলে তাঁদের হাতে সেই টাকা দেওয়ার পর গ্রাহকের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এটিএম কার্ড বদলে দিত তারা৷ পরে সেই কার্ডের সাহায্যেই গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিত। এভাবেই বেশ কিছুদিন ধরে বাগদা থানা এলাকায় একের পর এক এটিএম জালিয়াতির ঘটনা ঘটছিল। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে এটিএম জালিয়াতি চক্রের সন্ধান পেল বাগদা থানার পুলিশ। এরপর গোপালনগর থানার পুলিশের সহায়তায় শুক্রবার রাতে ওই চক্রের মূল পান্ডাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ৷
[আরও পড়ুন: লটারির টিকিটে ভাগ্যবদল, ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন মাওবাদী নেতা আজ ‘কোটিপতি’!]
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম অভিজিৎ বৈদ্য। বাড়ি গোপালনগর থানার পাল্লা এলাকায়। অভিজিতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে কয়েকটি এটিএম কার্ড।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিজিতের নেতৃত্বে এই চক্রটি নদিয়া এবং উত্তর চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। সম্প্রতি বাগদা থানায় এটিএম জালিয়াতির তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে বাগদা থানার পুলিশ গোপালনগরের পাল্লা এলাকা থেকে অভিজিৎকে গ্রেপ্তার করে৷
[আরও পড়ুন: তৃণমূল-বিজেপির অশান্তিতে রণক্ষেত্র বালি, গুলিবিদ্ধ গেরুয়া শিবিরের এক কর্মী]
বাগদার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছে, দিন সাতেক আগে এরকম একটি জালিয়াতির অভিযোগ এসেছিল সাইবার বিভাগে। যদিও অপরাধটা সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুলিশ সাইবার অফিসারদের সাহায্যে মূল পান্ডাকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের কাছে কয়েকটি এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, চুরি হওয়া টাকাও পাওয়া যাবে। শনিবার সকালে ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। চক্রের অন্যান্যদের সন্ধান পেলে তবেই জালিয়াতি পুরোপুরি দমন করা সম্ভব বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা।