রাহুল চক্রবর্তী: এক এক করে হাসপাতালে ঢুকছে রক্তাক্ত শরীর। প্রত্যেকেই গুরুতর আহত। এসএসকেএম হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডের সামনে তখন থিকথিক করছে ভিড়। চোখেমুখে এখনও আকস্মিকতা আহতদের পরিজনদের। মঙ্গলবার বিকেলে আচমকাই মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় আহত বহু মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের সহযোগিতায় আহতদের দ্রুত নিয়ে আসা হচ্ছে সিএমআরআই ও এসএসকেএম হাসপাতালে। এসএসকেএম হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে তৎপর ছিলেন ডাক্তার ও নার্সরা। আহতেদের জন্য স্ট্রেচার নিয়ে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন হাসপাতালের কর্মীরা। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১২ জন আহতকে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ দেখা গেল মহেশতলার হাসিবুর রহমানের। মঙ্গলবার বিকেলে মহেশতলা থেকে শ্বশুরমশাইকে নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের দিকেই আসছিলেন। মাঝেরহাট ব্রিজের উপর তাঁর স্কুটার উঠতেই বিপত্তি। বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে ব্রিজ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুজনেই পড়ে যান নিচে। কোনওরকমে হাসিবুরবাবু রক্ষা পেলেও গুরুতর আহত হন তাঁর শ্বশুর। উপর থেকে নিচে পড়ায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় তাঁর স্কুটার। স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে শ্বশুরমশাইকে নিয়ে আসেন তিনি। ভাগ্যের অদ্ভূত পরিহাস, হাসপাতালেই আসছিলেন তাঁরা। সেই হাসপাতালেই ভরতি হলেন হাসিবুরবাবুর শ্বশুর। কিন্তু তাঁর অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।
হাসপাতালে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ শান্তনু সেন-সহ তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। হাসপাতালে পৌঁছেছেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেট জানান, এখন রাজনীতি করার সময় নয়। এখানে রাজনীতি করতে আসেননি তিনি। এই মুহূর্তে সবপক্ষকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার পোস্তার উড়ালপুল বিপর্যয়ের পর আরও একটু সচেতন হতে পারত।
The post একে একে এমার্জেন্সিতে ঢুকছে রক্তাক্ত শরীর, SSKM-এ যুদ্ধকালীন তৎপরতা appeared first on Sangbad Pratidin.