দীপঙ্কর মণ্ডল: তৃণমূলের দ্বিতীয় ইনিংসে রাজ্য মন্ত্রিসভায় দ্বিতীয়বার রদবদল। আর তাতেই বেশ বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত। কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব থেকে সরানো হচ্ছে অসীমা পাত্রকে। তাঁর জায়গায় আনা হচ্ছে কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুকে। অন্যদিকে পূর্ণেন্দুর ছেড়ে আসা মন্ত্রক সামলাবেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রীরা তাদের দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
[গৌতম দেবের উপস্থিতিতে সচল মিরিকের গাড়িধুরা, পানিঘাটা]
গত সোমবার নবান্নে মন্ত্রীদের মার্কশিট নিয়ে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বেশ কিছু দপ্তর একশোর মধ্যে ১৫ বা তার থেকে কম নম্বর পেয়েছিল। যার মধ্যে ছিল কারিগরি শিক্ষা দপ্তর। দপ্তরগুলির কাজের পর্যালোচনা করতে গিয়ে প্রকাশ্যে কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞদের ধারণা তাঁর আচ পড়তে চলেছে রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলে। কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে অসীমা পাত্রকে। কর্মসংস্থান বাড়ানোর ব্যাপারে এই দপ্তরের কাজ নিয়ে খুবই সিরিয়াস ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দপ্তরের কাজের পর্যালোচনায় তা ফেল করায় হুগলির ধনেখালির বিধায়ককে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। অসীমার জায়গা আনা হচ্ছে পূর্ণেন্দু বসুকে। তৃণমূল সরকারের প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘ সময় কৃষি দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন পূর্ণেন্দু। সাম্প্রতিক বৈঠকে তাঁর দপ্তরের পারফরমেন্স খারাপ ছিল না। সূত্রের খবর, ভাল কাজের নিরিখে রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ককে নতুন দায়িত্বে আনা হল। মন্ত্রিসভার রদবদলে গুরুত্ব বাড়ল আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরিসংখ্যান দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তাঁকে কৃষিমন্ত্রী করা হচ্ছে। আশিসবাবু রামপুরহাটের বিধায়ক। এক সময় অধ্যাপক ছিলেন। গ্রামীণ এলাকায় তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা প্রশাসন কাজে লাগাতে চাইছে। অসীমা পাত্রের কারিগরি শিক্ষা দপ্তর হাতছাড়া হলেও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর পদে অবশ্য তিনি থাকছেন। পাশাপাশি পরিসংখ্যান দপ্তরের বাড়তি দায়িত্বও তাঁকে দেওয়া হচ্ছে।
[এ কোন সমাজ গড়ে তুলছি? গৌরী খুনে নেটদুনিয়ায় প্রশ্ন বিশিষ্টদের]
এই দফায় তিন মন্ত্রীর দপ্তর রদবদল হল। কয়েক মাস আগে উজ্জ্বল বিশ্বাসকে কারা দপ্তরে আনা হয়েছিল। তবে এই দফাতেও দপ্তরহীন মন্ত্রী থেকে গেলেন অবনী জোয়ারদার।
The post মমতার রদবদলে রাজ্যে গুরুত্ব বাড়ল কোন কোন মন্ত্রীর? appeared first on Sangbad Pratidin.