সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : প্রস্রাব থেকে ইউরিয়া বানানোর পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি। রবিবার নাগপুর পুরসভার তরফে আয়োজিত মেয়র ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ফাংশনে একঝাঁক নতুন উদ্যোগপতিদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইউরিয়া তৈরিতে প্রস্রাবের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন তিনি। দাবি করেন, যদি এটা করা যায় তাহলে ভারতকে আর সার আমদানি করতে হবে না।
নতুন জিনিস আবিষ্কারের গুরুত্বের কথা বোঝাতে গিয়ে প্রাকৃতিক বর্জ্য পদার্থ থেকে বায়ো-ফুয়েল তৈরির উদাহরণ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বলেন, “বায়ো-ফুয়েল তৈরির কাজেও লাগতে পারে মানুষের প্রস্রাব। এছাড়া এটা থেকে অ্যামোনিয়া সালফেট এবং নাইট্রোজেনও সংগ্রহ করা যেতে পারে। বিমানবন্দরগুলিতে আমি যাত্রীদের প্রস্রাব সংরক্ষণ করতে বলেছি। আমরা ইউরিয়া আমদানি করি। কিন্তু, যদি আমরা গোটা দেশের প্রস্রাব সংরক্ষণ করি তাহলে আর বাইরে থেকে ইউরিয়া কিনতে হবে না। এটা এতটাই কার্যকরী এবং এর থেকে কিছুই ফেলা যায় না। তবে আমার ভাবনা অসাধারণ বলে অন্যরা আমার সঙ্গে সহযোগিতা করে না। এমনকী পুরসভাগুলোও সাহায্য করে না। কারণ সরকারে এমন সব মানুষ আছে, যাদের ষাঁড়ের চোখে ঠুলি লাগিয়ে ইঁদুর দৌড়ে দৌড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা এদিক-ওদিক তাকায় না।”
[বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক? ঘটনার প্রমাণ উপগ্রহচিত্রই]
কয়েক বছর আগে নিজের প্রস্রাব সংরক্ষণ করে তা দিল্লির বাংলোর বাগানে সার হিসেবে ব্যবহার করেন বলে জানিয়ে ছিলেন গড়করি। গতকাল তার পাশাপাশি মানুষের কাটা ও ঝড়া চুল থেকে অ্যামাইনো অ্যাসিড নিষ্কাশিত করে সার তৈরি করেন বলেও জানান তিনি। এবং সেই সার তাঁর ফার্মের উৎপাদন ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও দাবি করেন। এমনকী এটাও জানান, নাগপুর থেকে চাহিদা মতো চুল না পেয়ে প্রতিমাসে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি বালাজি মন্দির কর্তৃপক্ষের থেকে পাঁচ ট্রাক করে ভক্তদের কাটা চুল আনান। আর তার থেকে নিষ্কাশিত অ্যামাইনো অ্যাসিড বিদেশে বিক্রি করেন। তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্তি গ্রুপ অফ ইন্ড্রাস্ট্রিজকে দুবাই সরকারের তরফে ১৮০টি কন্টেনার প্রাকৃতিক সারের অর্ডার দেওয়া হয়েছে বলেও জানান।