সুব্রত বিশ্বাস: এবার যাত্রীদের জন্য প্রতীক্ষালয়ের সঙ্গে অতিরিক্ত উপহার ‘পারগোলা’ও মুক্তাঞ্চল। শিয়ালদহ স্টেশনের (Sealdah Station) নতুন ভবনের ছাদের উপর তৈরি হচ্ছে এমনই পরিবেশ। ফুলের বাগানের মাঝে থাকবে রংবেরঙের ছাতার সমাহার তথা পারগোলা। ফুরফুরে হাওয়া বা বৃষ্টি, তার মাঝেই বসে খেতে পারবেন যাত্রীরা। তবে এই খাবার বাইরে থেকেও এনে খাওয়া যাবে।
শিয়ালদহের ডিআরএম এস পি সিং জানিয়েছেন, “ব্যবসার পাশাপাশি যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্য আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিনামূল্যে এই যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে।” আগেই শিয়ালদহ স্টেশনের খোলনলচে বদলেছে। এবার নবরূপে সেজে উঠবে স্টেশনটি।
[আরও পড়ুন: ‘মৃত্যুশয্যায় স্ত্রী’, ভুয়ো ডাক্তারি সার্টিফিকেট দিয়ে এসটিএফের স্ক্যানারে ওড়িশার পাচারকারী]
১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ডানদিকে ১২ হাজার বর্গফুটের এই নবনির্মিত ভবনের দোতলায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির প্রতীক্ষালয় তৈরি হয়েছে। ট্রেন আসার আগে বা ট্রেন থেকে নেমে সেখানে অপেক্ষা করতে পারবেন যাত্রীরা। এমনকী, ট্রেন লেট করলেও এখানে চলবে আড্ডা। চার দেওয়ালের মাঝে আর যাত্রীদের থাকতে হবে না। ছাদে গিয়েই ছাতার তলায় বসে কাটাতে পারবেন সময়। ভবনটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে স্টেশন ম্যানেজার ও ডেপুটি স্টেশন ম্যানেজারের ঘর থাকলেও তার পাশে তৈরি হয়েছে ১২০০ বর্গফুটের ক্যাফেটেরিয়া ও ২৫০০ বর্গফুটের রিটেল স্টোর। সেখানে অবসর সময়ে কেনাকাটাও করতে পারবেন যাত্রীরা।
বাণিজ্যিকভাবেও স্টেশন চত্বরকে কাজে লাগাতে চায় কর্তৃপক্ষ। সেজন্য মূল ফটক ছাড়াও এবার যাতে ইস্ট ক্যানাল রোড থেকে যাত্রীরা স্টেশনে যাতায়াত করতে পারেন, সেজন্য খালের দিক থেকেও করা হবে ‘সেকেন্ড এন্ট্রি’। খালের দিকের এই রাস্তা থাকলেও তা যাত্রীরা ব্যবহার করেন না। মূলত পার্সেলের জন্যই ব্যবহৃত হয় এই ফটকটি। সেজন্য এই গেটের উন্নতি করছে কর্তৃপক্ষ।