সোমনাথ রায়: ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল। ছিল মালা। হয়ে গেল ‘গারল্যান্ড’! হ্যাঁ, প্রযুক্তির ‘সৌজন্যে’ই এভাবেই নাম বদলে গেল মালা রায়ের। যা দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ।
ঠিক কী ঘটেছে? আসলে লোকসভার (Lok Sabha) যে ওয়েবসাইটটি রয়েছে, সেখানে প্রশ্নকারীদের তালিকাদের নাম রয়েছে একাধিক সাংসদের। সেখানেই মালা রায়ের নামটি বদলে গিয়ে গারল্যান্ড রায় হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ মালা নামটি ইংরাজিতে অটো ট্রান্সলেট হয়ে গারল্যান্ড হয়ে গিয়েছে। নাম বিভ্রাট দেখে ক্ষোভ উগরে দেন মালা রায়। এরপরই তৃণমূল সাংসদের দপ্তর থেকে পার্লামেন্ট স্যাক্রেটেরিয়টে যোগাযোগ করা হয়। মালা রায় নিজেও ফোন করেন। কী সমস্যা হয়েছে জানতে কথা বলেন টেকনিশিয়নদের সঙ্গে। তারপর সমস্যা মেটে। সংসদের তরফে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যই এমন গন্ডগোল হয়েছে। তার জন্য় তারা ক্ষমাপ্রার্থী।
[আরও পড়ুন: স্রেফ কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে শূন্যপদ প্রায় ১০ লক্ষ! সংসদে স্বীকার করল মোদি সরকার]
কিন্তু এহেন ত্রুটির খবর পাওয়া মাত্র মেজাজ হারান মালা রায়। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলে দেন, “কী হচ্ছে এসব? কারা করে এধরনের ভুল? নরেন্দ্র মোদির নামেরও অন্য মানে হতে পারে। আজ নরেন্দ্র মোদির নাম ট্রান্সলেট করে তাঁকে সেই নাম ডাকলে কি ভাল লাগবে?” তবে বিষয়টি যে সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যই হয়েছে বলে জানানো হয় এবং সেই সমস্যা তৎপরতার সঙ্গে সমাধানও করে ফেলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এদিনই কেন্দ্রীয় সরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে শূন্যপদ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। সংসদে কেন্দ্র স্বীকার করে নেয়, শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদেই শূন্যপদের সংখ্যাটা ১০ লক্ষের কাছাকাছি। শূন্যপদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রেল দপ্তরে। রেলের পরই সর্বোচ্চ শূন্যপদ রয়েছে নাগরিক সুরক্ষা বিভাগে। সঙ্গে এও দাবি করা হয়, আগামী এক বছরেই এই ১০ লক্ষ শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।