অরূপ বসাক, মালবাজার: অল্প সময়ে অত্যধুনিক প্রযুক্তিতে আলু (Potato) তোলা ও একই যন্ত্রের সাহায্যে জমি চাষ , স্প্রে এবং জলসেচের পাম্পের কাজের পদ্ধতি দেখানো হল কৃষকদের। এদিন মালবাজার ব্লকের গাজোলডোবার ১০ নম্বর কলোনি এলাকায় কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে কৃষকদের হাতে-কলমে ওই যন্ত্রের কার্যকারিতা দেখানো হয়। এই যন্ত্র ব্যবহার করে কৃষকরা (Farmer) অল্প সময়ে অনেক বেশি আলু উৎপাদন করতে পারবেন। এতে আলু উৎপাদনে লাভের মুখ দেখবেন চাষিরা।
গতানুগতিক পদ্ধতিতে জমি থেকে আলু তোলার জন্য কৃষকদের যেমন শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়, তেমনি অনেক সময়ও নষ্ট হয়।তবে, এই যন্ত্রের প্রয়োগে কৃষকদের সময় ও পরিশ্রম দুটোই সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি দপ্তরের কর্তারা। আবার জমি থেকে আলু তোলার সময় অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন হয়, বর্তমানে অনেক সময় শ্রমিক পাওয়া নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ফলে শ্রমিকের মজুরি ও অনেক সময় ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে। এই উন্নত প্রযুক্তির(Technology) ব্যবহারের ফলে খুব কম খরচে জমি থেকে আলু তোলা যাবে ।
[আরও পড়ুন: শীত কমতেই মুকুলে ভরল আমবাগান, মালদহে এবার রেকর্ড গড়তে পারে আমের ফলন]
পাশাপাশি, জল সেচের জন্য পাম্প হিসেবেও ব্যাবহার করা যাবে এই যন্ত্র ।এর ফলে সুবিধা হবে অনেক।এই যন্ত্র কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তা এদিন গাজোলডোবার কৃষি জমিতে প্রয়োগ করে দেখিয়ে দেন এই যন্ত্রের প্রস্তুতকারীরা । আলু কীভাবে তুলতে হবে এবং কীভাবে চাষের প্রয়োজনে জলসেচ ব্যবহার করা হবে তা দেখানো হয় কৃষকদের।এই যন্ত্রের ব্যবহার দেখে কৃষককেরা খুবই খুশি হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কৃষিক্ষেত্রে আরও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, DGPS প্রযুক্তিতে জমির মান নির্ধারণে তৈরি যন্ত্র]
এই যন্ত্রের দাম ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা। তবে জানা গেছে , প্রয়োজন অনুযায়ী এই যন্ত্র কেনার জন্য কৃষকদের সরকারের তরফ থেকে ৫০ শতাংশ ভরতুকি দেওয়া হবে। সরকারি ভরতুকি নেওয়ার জন্য কৃষকদের আগে থেকে আবেদন করতে হবে তাহলেই তারা সরকারি নিয়মানুযায়ী ভরতুকি পাবেন। এদিনের প্রদর্শনীতে উপস্থিত(Present) ছিলেন ডক্টর-সহ কৃষি অধিকর্তা মেহেফুজ আলম ছিলেন পলাশ মুখার্জি ও এই যন্ত্র প্রস্তুতকারী সিনিয়র ম্যানেজার।