বাবুল হক, মালদহ: ফের সালিশি সভায় মারধর! পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে ডেকে চার ভাইকে মারধর করার অভিযোগ উঠল এক ঠিকাদার ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মালিওর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের হরকাবাথান এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। রাতেই হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে জখম চার ভাইকে ভর্তি করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আহতের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরকাবাথান এলাকার বাসিন্দা পেশায় শ্রমিক মোশারফ হোসেন ওরফে আকবর। তিনি নয় মাস আগে ঠিকাদার মনিরুলের কাছ থেকে অগ্রিম সাড়ে ১১ হাজার টাকা দাদন নিয়ে মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন। সেখানে সপ্তাহখানেক কাজ করার পর আকবর অন্যত্র কাজ করতে চলে যান বলে অভিযোগ। সেই টাকা মণিরুল তার কাছে ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকেন। সোমবার সেই টাকা চাইতে গিয়ে শ্রমিক ও ঠিকাদারের সঙ্গে বচসা হয়।
[আরও পড়ুন: ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ভোট বাতিলের দাবি, হাই কোর্টে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ]
অভিযোগ, মালিওর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসকদলের প্রধান সেতারা বিবির স্বামী আবদুল রহমানের কথায় রাতে তার বাড়ির সামনে সালিশি সভা বসানো হয়েছিল। সেখানে মোশারফ হোসেন-সহ তাঁর চার ভাইকে বেধড়ক মারধর করা হয়। আহত মোশারফ হোসেন বলেন, "কাজ করে মনিরুলের টাকা প্রায় পরিশোধ করে দিয়েছিলাম। আমার কাছে ২৫০০ টাকা পেত। সোমবার আমার বাড়িতে ঢুকে মনিরুল আমার মোবাইল ও নগদ ১০ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক প্রধানের বাড়িতে সালিশি সভা ডেকে সেখানে আমাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করে।" প্রধানের স্বামী আবদুল রহমান বলেন, নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য এই সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। অভিযুক্ত ঠিকাদার মনিরুল বলেন, "সালিশি সভায় দুই শতাধিক লোক ছিল। ভিড়ের মধ্যে কে মেরেছে আমি বলতে পারব না।" এদিকে এই ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।