বাবুল হক, মালদহ: মালদহের কৃষ্ণপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে ডাকাতির ঘটনায় নয়া মোড়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় যুক্ত স্থানীয় ব্যক্তি। সে-ই রেইকি করে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে ওই সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ৬ লক্ষ টাকা দুষ্কৃতীরা লুট করে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। ভিনরাজ্যের কেউ জড়িত কিনা, আগ্নেয়াস্ত্রই বা দুষ্কৃতীরা পেল কোথা থেকে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় ধৃত দুজনকে জেরা করে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা পুলিশের।
বুধবার দুপুরে মালদহের কৃষ্ণপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। তার পর বোমাবাজি করতে করতে বোলেরো গাড়ি চড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। সাতটি দলে ভাগ হয়ে শুরু হয় ডাকাতদের খোঁজে তল্লাশি। ডাকাতদল দক্ষিণ দিনাজপুরের পালানোর ছক কষে। সূত্রের খবর,পুরাতন মালদহের ভাবুকের সুখানদিঘি এলাকায় গাড়ি বদল করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। দুজনের পায়ে গুলি লাগে। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই আপাতত দুষ্কৃতী দলের দুজনের চিকিৎসা চলছে।
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় পাশ নিট বিরোধী প্রস্তাব, নিট কেলেঙ্কারি ‘হিমশৈলের চূড়ামাত্র’, বললেন ব্রাত্য]
ধৃত দুই দুষ্কৃতীর মধ্যে সমীর মণ্ডল মালদহের কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সে-ই রেইকি করে। তার পরই ডাকাতির ছক কষা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সমীর স্বীকার করেছে ডাকাতির সময় দরজায় পাহারা দিচ্ছিল সে। এই ঘটনায় বাকি অভিযুক্তরা চাঁচলের বলেই জানা গিয়েছে। তবে ভিনরাজ্যের কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ধৃত দুই অভিযুক্ত বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর জেরা করে আরও বিস্তারিত তথ্য সামনে আসবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।