সুপর্ণা মজুমদার: পরিচালক অনীক দত্তর ‘অপরাজিত’ (Aparajito) ছবিতে একের পর এক চমক। প্রথমে সত্যজিৎ রায় রূপে অভিনেতা জিতু কমলকে দেখে অবাক সিনেপ্রেমীরা। জিতু কমল কীভাবে ‘অপরাজিত’র সত্যজিৎ রায় হয়ে উঠলেন, সে খবর এখন সবার জানা। তবে নতুন চমক হল, অনীকের এই ছবির ইন্দির ঠাকরুণ! খুঁতখুঁতে পরিচালক যখন শত চেষ্টা করেও তাঁর ইন্দির ঠাকরুণকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না, তখনই ঘটল এক অবাক করা কাণ্ড! সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের সঙ্গে সেই খবরই ভাগ করে নিলেন অনীক।
সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ ছবিতে ইন্দির ঠাকরুণের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন চুনীবালা দেবী। সেই সময় সত্যজিৎ রায় বহু পত্রিকায়, বহু সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চুনিবালা দেবীর মতো আর একটিও ইন্দির ঠাকরুণ পাবেন না কোনওদিন। অনীক যখন ‘অপরাজিত’ ছবির কাস্টিং করছিলেন, তখনও ইন্দির ঠাকরুণ খোঁজা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল। শেষমেশ, অনীক খুঁজে বারও করলেন তাঁকে।
[আরও পড়ুন: অস্কারের মঞ্চে চড়কাণ্ডের পর আধ্যাত্মিক শান্তির খোঁজে ভারত সফরে অভিনেতা উইল স্মিথ!]
অনীক জানালেন, ‘ইন্দির ঠাকরুণের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য ঠিকঠাক শিল্পী পাচ্ছিলাম না। এমনকী, মাধবী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। যদি তাঁদের সময়কার অভিনেত্রীদের মধ্যে কেউ থাকেন। শেষমেশ আমাকে সাহায্য করেছেন দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। তিনি আমাকে গ্রামের লোকশিল্পীদের খোঁজ দিলেন। সেখান থেকেই হরবাবুর খোঁজ পেলাম। অডিশন হল। লুক টেস্ট হল। তবে হরবাবুকে ইন্দির ঠাকরুণ বানানোর পিছনে হাতযশ রয়েছে মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথের। পাশাপাশি নাটকের অভিনেতা সৈকত ঘোষ ওয়ার্কশপও কাজে এসেছে।’
অনীকের কথায় এই ছবিতে ইন্দির ঠাকরুণকে দেখার সময় নারী-পুরুষের বিষয়টা মাথা থেকে দূরে রাখলেই ভাল হয়।
১৯৫৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’। সেই ছবি তৈরির নেপথ্য কাহিনি ‘অপরাজিত’ ছবিতে তুলে ধরেছেন অনীক দত্ত। চরিত্রগুলোর নাম ও ঘটনার বিবরণ কিছুটা পালটে নিয়েছেন পরিচালক। ছবিতে মূল চরিত্রের নাম অপরাজিত রায় (জিতু কমল)। আর তিনি তৈরি করছেন ‘পথের পদাবলী’ নামের ছবি। অনেক বাধা-বিপত্তির মোকাবিলা করে ‘পথের পাঁচালী’ তৈরি করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। সেই কাহিনিই সিনেমার মাধ্যমে বলতে চলেছেন পরিচালক। ইতিমধ্য়েই প্রকাশ্যে এসেছে এই ছবির ট্রেলার। ছবিটি মুক্তি পাবে ১৩ মে।