সুব্রত বিশ্বাস: স্টাফ স্পেশ্যালের মহিলা কামরায় পুরুষ যাত্রীদের চড়া নিষিদ্ধ। রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করে নিষিদ্ধ করেছে রেল। তবু হুঁশ ফেরেনি যাত্রীদের। নির্দেশিকা অমান্য করেই স্টাফ স্পেশ্যালের (Staff Special) মহিলা কামরায় চড়ছেন পুরুষ যাত্রীরা। বারবার এমনই অভিযোগ সামনে আসছে।
কিছুদিন আগে শিয়ালদহ মেন শাখায় মহিলা কামরায় চড়ে মেয়েদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করায় কয়েকজন যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরেই রেল ঘোষণা করে, পুরুষ যাত্রী মহিলা কামরায় (Ladies Compartment) চড়লেই আইনত পদক্ষেপ করা হবে। রেহাই পাবেন না রেলকর্মীরাও। কিন্তু এই ঘোষিত নীতিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্টাফ স্পেশ্যালে মহিলা কামরায় চড়ছেন বহু পুরুষ যাত্রী। বিশেষত রাতের ট্রেনগুলির মহিলা কামরা পুরুষদের দখলে চলে যায় বলে অভিযোগ। পুরুষ যাত্রীদের অধিকাংশই রেলকর্মী ও তাদের পরিচিত পুরুষ যাত্রী।
[আরও পড়ুন: শিল্পে এক নম্বর হওয়াই লক্ষ্য, রাজ্যে বিপুল বিনিয়োগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
এই সব যাত্রীদের মধ্যে যেমন আছেন আরপিএফ কর্মী, টিকিট পরীক্ষক। গত মঙ্গলবার রাত ন’টার বর্ধমান কর্ডে যাত্রা করছিলেন আরপিএফের এক হাবিলদার। তাঁর কথায়, “আমরাই মহিলাদের সুরক্ষা দিই। তবে সেই কামরায় যেতে ক্ষতি কী?” আরপিএফের এক সহকারী কমান্ডান্ট একেবারে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, অন ডিউটি না হলে কোনও মতে এই কামরায় চড়তে পারবেন না পুরুষ আরপিএফ। ধরা পড়লেই দেওয়া হবে চার্জশিট। রেল আইনে ১৬২ ধারায় মামলা করে চালান দেওয়া হবে অভিযুক্ত যাত্রীকে। যে ধারায় ৫০০ টাকা জরিমানা ও এক মাসের জেল। তবে এটি জামিনযোগ্য অপরাধ।
ট্রেনে মহিলাদের কামরায় পুরুষযাত্রী ওঠা বরাবর আইন বিরুদ্ধ। বহু সময় বিচ্ছিন্নভাবে এই কামরায় নানা ধরণের হামলা হয়েছে। হাওড়া, শিয়ালদহে এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন রেল কর্মীরা। আধিকারিকদের কথায়, আইন কার্যকর করা যাদের কাজ, তারাই আইন ভাঙলে কার কী করার আছে। তবে বিষয়টি বন্ধের সব চেষ্টাই করবেন বলে আশ্বাস দেন পূর্ব রেলের সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী।