বাবুল হক, মালদহ: দেখতে কমলালেবুর মতো। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ একটি রসালো ফল মাল্টা। ফলটি বাংলাদেশের ভূমিতে চাষ হয়। এবার সেই মাল্টা ফলের চাষ করে সফলতা অর্জন করলেন মালদহের এক কৃষিবিজ্ঞানী ডা. শান্তনু ঝা। বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন ধরেই অধ্যাপনা করছেন শান্তনুবাবু। ইংলিশবাজার ব্লকের শোভানগর গ্রামে তাঁর নিজের নয় বিঘা জমিতে মাল্টা ফলের চাষ করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। আগে পশ্চিমবঙ্গে এই ফলের চাষ হয়নি। রাজ্যে এই প্রথম মালদহে মাল্টা ফলের চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন ওই কৃষিবিজ্ঞানী অধ্যাপক শান্তনু ঝা।
[মালচিং পদ্ধতিতে ধান চাষ, ব্যাপক অর্থলাভ বালুরঘাটের তিন যুবকের]
জেলার উদ্যানপালন দপ্তরের উপ-অধিকর্তা রাহুল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মাল্টা ফল চাষ করার জন্য তাঁকে দীর্ঘদিন গবেষণা করতে হয়েছে। অত্যন্ত কম খরচে এই ফলের চাষ করা সম্ভব। আরবিয়ান জাতের এই ফল বর্তমানে বাংলাদেশে খুব উৎপাদন হয়। সেই ফলের চাষ মালদহে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে উদ্যানপালন দপ্তর। প্রথমত চারা গাছ লাগিয়ে সেই চাষে সফলতা পাওয়ার পর এখন বিপুল সংখ্যক ভাবে মাল্টা ফলের চাষ শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শোভানগর গ্রামে। ভবিষ্যতে চাষিদের অল্প পরিশ্রমে এই ফলের চাষ লাভদায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অধ্যাপক শান্তনু ঝা বলেন, “মাল্টা ফল শিশুদের ক্ষেত্রে খুবই পুষ্টিকর। ক্যানসার প্রতিরোধকও বলা যেতে পারে। গত অক্টোবর মাসে রানাঘাটের এক নার্সারির মাধ্যমে ৯০০ গাছের চারা এনে মালদহের বসতবাড়ির জমিতে চাষ শুরু করেছিলাম। গাছ থেকে থেকে কুঁড়ি বেরোনো শুরু হয়েছে। এরপর আরও ৪০ হাজার গাছের চারা এনে চাষ শুরু করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।”
বর্তমানে বাইরে থেকে আমদানি হয়ে আসা মাল্টা ফল বাজারে কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়। কিন্তু এখানে উৎপাদন হতে শুরু করলে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে মিলবে বলে জানিয়েছেন শান্তনুবাবু। এক বিঘা জমিতে চাষ করতে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। এই চাষে রাসায়নিক সারের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। ফলে অল্প টাকায় চাষিরা মাল্টা ফল চাষ করে আগামীতে খুবই লাভবান হতে পারবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
[ এক গাছেই হাজার কমলা! তাক লাগালেন মাস্টারমশাই]
The post কৃষিতে রাজ্যে নয়া নজির, মালদহে মাল্টা ফলালেন এক অধ্যাপক appeared first on Sangbad Pratidin.