সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্য অরাজনৈতিক ছাত্র সংসদ গঠন। সংসদের নির্বাচনের নামে অশান্তি এড়ানো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ইচ্ছেকে স্বীকৃতি দিতে কাজ শুরু করে দিল শিক্ষা দপ্তর। একাধিক বিধিনিষেধ সামনে রেখে নতুন খসড়া তৈরি হচ্ছে। এনিয়ে শিক্ষা দপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে।
[তৃণমূল ও মোর্চার মিছিল, পাল্টা মিছিলে তপ্ত পাহাড়]
ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলেই ঘুরে ফিরে আসে অশান্তির খবর। প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরের সমর্থকদের মারধর, ক্যাম্পাসে রক্তারক্তি, অধ্যক্ষ নিগ্রহ, ঘেরাও। ভোট এলেই বোঝা দায় হয়ে পড়ে শিক্ষাঙ্গন নাকি রণাঙ্গন। রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর স্টুডেন্ট ইউনিয়নের ভোটে অশান্তিতে লাগাম পরানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে ছিল প্রতিটি কলেজে সেন্ট জেভিয়ার্সের ধাঁচে শিক্ষা সংসদ গঠন হোক। যেখানে কোনও রাজনৈতিক ছাত্র সংসদ থাকবে না। মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে কাজ শুরু করে ফেলেছে শিক্ষা দপ্তর। যার জন্য খসড়াও তৈরি হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে ছাত্র সংসদের অভিভাবক হবেন অধ্যাপক। সংসদের আর্থিক বিষয় তিনি দেখবেন। অধ্যাপকের হাতে ছাত্র সংসদের অনেক বেশি দায়িত্ব থাকবে। ছাত্র সংসদে মৌরসিপাট্টা আটকাতে দুবারের বেশি সাধারণ সম্পাদক হওয়া যাবে না। অনেক সময় দেখা যায় ছাত্র সংসদে থাকার জন্য কেউ কেউ একাধিকবার কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। নয়া খসড়ায় এবার সেই রাস্তাও বন্ধ। একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয়বার ভর্তি হলে আর প্রার্থী হওয়া যাবে না। এমনকী নির্বাচনে প্রার্থী হতে গেলে ক্লাসে অন্তত ৬০ শতাংশ উপস্থিতি থাকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। কলেজে অশান্তি পাকানোর দায়ে অভিযুক্ত বা শাস্তিপ্রাপ্ত হলে তাদের ভোটে দাঁড়ানোর নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে। শাস্তিপ্রাপ্ত কেউ ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না। সূত্রের খবর, কয়েক দিনের মধ্যে এই নিয়ে শিক্ষা দপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে। বিষয়টি আগে আলোচনার পর্যায়ের ছিল। এখন এর দ্রুত প্রয়োগই দপ্তরের লক্ষ্য। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আর কয়েকদিন পর বিজ্ঞপ্তি জারি হবে।
[প্রশ্নপত্র বিভ্রাটে বাতিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা পরীক্ষা]
The post শিক্ষাঙ্গনে অশান্তি রুখতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে নয়া বিধি আনছে রাজ্য appeared first on Sangbad Pratidin.