সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মনের নন্দীগ্রাম মনেই আছে।’ হাওড়ার ডুমুরজোলা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে ওঠার আগেই সুর বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নন্দীগ্রামে পা রেখেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন ১৩ বছর আগের সেই আন্দোলনের স্মৃতি এখনও তাঁর হৃদয়ে অমলিন। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে যে ১০ জন আন্দোলনকারী নিখোঁজ ছিলেন, সেই দশ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শহিদ পরিবার এবং নিখোঁজ পরিবারের পেনশনের ব্যবস্থা করবে সরকার।
এদিন তেখালির মেগা র্যালির আগে নন্দীগ্রামে একটি সরকারি প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রশাসনিক সভা থেকেই নিখোঁজ পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্মরণ করেন আন্দোলনের শহিদদেরও। মনে করান, ১৩ বছর আগে আন্দোলনের সময় শহিদদের পাশাপাশি ১০ জন আন্দোলনকারী নিখোঁজও ছিলেন। তাঁদের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আরও একবার জানিয়ে দেন, নন্দীগ্রাম এখনও তাঁর হৃদয়ে আছে।
[আরও পড়ুন: ‘কবে নাগরিকত্ব কার্ড হাতে পাবেন মতুয়ারা?’, বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে প্রশ্ন শান্তনু ঠাকুরের]
প্রশাসনিক সভার পরই মমতা তেখালির জনসভায় চলে যান। শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পর প্রথমবার নন্দীগ্রামে পা রেখেই ফের জনজোয়ারে ভাসলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার বক্তব্য শুনতে এদিনও হাজার হাজার মানুষ হাজির হন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মমতার সভায় এদিন উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের শহিদ পরিবারের সদস্যরা। মমতার সভায় হাজির ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সব বিধায়ক। পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকাংশ বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন বলেও দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মূল নেত্রী যে তিনিই, শহিদ পরিবারগুলিকে কাছে টেনে এদিন আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মমতা। সভামঞ্চে বক্তৃতা শুরু করেই বাম আমলের সময়কার রক্তাক্ত আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করান মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, “আমি কারও কাছে জ্ঞান নেব না, নন্দীগ্রাম আন্দোলন কে করেছে।”