ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “মহুয়া খুব ভাল মেয়ে, চটপটে, সৎ, ভাল কাজ করার ইচ্ছে আছে।” কিংবা বলছেন, “দীনেশদা অনেক দিনের লোক। বারাকপুরের মানুষের সঙ্গে আছেন। ওনাকে জেতান, গদ্দারদের জমানত বাজেয়াপ্ত করুন।” তৃণমূলনেত্রী এই কথাগুলি বলছেন, আর তা পৌঁছে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সকলের মোবাইলে। লোকসভার আগে এমনই অভিনব প্রচারের পন্থা নিল।
[আরও পড়ুন: দেশের এই অন্যতম চর্চিত ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার সামলেছেন বিবেক দুবে]
রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁর ছোয়া পেতে চান। দলনেত্রী কী বার্তা দিচ্ছেন তা দেখতে মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে তো আর রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে সভা করা সম্ভব নয়। আবার কর্মীদেরও বার্তা দেওয়াটা প্রয়োজন। তাই অভিনব পদ্ধতি বের করেছে রাজ্যের শাসকদল। টার্গেট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। যুবসমাজকে কাছে টানতে সোশ্যাল মিডিয়ার থেকে ভাল মাধ্যম আর কিছু হতে পারে না। আর শুধু যুব সমাজ কেন, আট থেকে আশি সকলেই এখন সোশ্যাল মিডিয়া-অ্যাডিক্টেড। তাই, ভোটপ্রচারের অন্যতম সেরা মাধ্যমও সোশ্যাল মিডিয়া।
[আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ ভোট করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর কলকাতা পুলিশ: কমিশনার রাজেশ কুমার]
তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীও তাই জনসংযোগের মাধ্যম হিসেবে টার্গেট করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিকেই। কী করছেন মমতা? তৃণমূলনেত্রী খোদ নিজের মুখে ভোটারদের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন, দলীয় প্রার্থীদের ভোট দিতে। কেন্দ্র ধরে ধরে। প্রত্যেক প্রার্থীর বর্ণনা দিচ্ছেন ছোট ছোট ভিডিওতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিচ্ছেন কোন প্রার্থী কেমন, কেন তৃণমূলের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। সেই সঙ্গে আবেদন জানাচ্ছেন, “সকাল সকাল ভোট দিন, জোড়াফুলে ভোট দিন।” ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক পেজে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, রাজ্যের ৪২টি আসন ধরেই তিনি শর্ট ভিডিও বের করবেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এতে দু ধরনের লাভ হতে পারে শাসক শিবিরের। এক, সব জায়গায় সভা না করেও তৃণমূল স্তরের নেতাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা। দ্বিতীয়ত, মমতা ব্যক্তিগতভাবে ভোট চাওয়ায় তাঁর ব্যক্তি ক্যারিশমাকেও কাজে লাগাতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস।
The post সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে নয়া আঙ্গিকে মুখ্যমন্ত্রী, হাতিয়ার ‘শর্ট ভিডিও’ appeared first on Sangbad Pratidin.