স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে ফের ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এর আগে একাধিক সভায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে একথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কত আসন পেতে পারে রাজ্যের শাসক দল? সে বিষয়ে এতদিন সেভাবে মুখ খুলতে শোনা যায়নি তৃণমূল নেত্রীকে। অন্যদিকে বিজেপির (BJP) তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বরাবরই বলে আসছেন, গেরুয়া শিবির পাবে দু’শোর বেশি আসন। বৃহস্পতিবার এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের অনুষ্ঠানে গিয়ে সম্ভাব্য আসনসংখ্যা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন গত দুই নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল যা আসন পেয়েছে, তার থেকে এবার বেশি আসন পাবে। মমতার (Mamata Banerjee) দাবি, “আমি ১১০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী। ২২১-এর কম আসন পাব না।”
‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে তাঁর আপত্তি রয়েছে, বারবার এমন অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সেই সমস্ত অভিযোগ একেবারে খারিজ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলে দিলেন, “কথাটা একদম ঠিক নয়। ওরা (বিজেপি) বলে জয় শ্রীরাম। আর আমি তো বলি জয় সিয়ারাম। তার মানে, সীতা আর রাম।” বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তারই জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, “প্রত্যেক ধর্মের নিজস্ব রীতি রয়েছে। সেটা বিশ্বজনীন। আমি প্রত্যেক ধর্মকে সম্মান করি। আসলে ধর্ম যার যার। উৎসব সকলের। তাই এই কথাটা ঠিক নয়।” বিজেপির অভিযোগ খারিজ করে এই অনুষ্ঠানে পালটা অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, “আগে দেখুন কে সত্যি বলে আর কে মিথ্যা বলে। কেউ মিথ্যা বলছে। আর তার পিছন পিছন ছুটছে সবাই।” পরিবারতন্ত্রের অভিযোগও খারিজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রথম ‘বুয়া—ভাতিজা’র কথা তুলে শাহকে বিঁধে বলেছেন, “খালি বুয়া-ভাতিজা। আপনার কী? আপনার ছেলে কী? কী করে সে এত টাকা করল? আগে তার জবাব দাও। আমরা বাংলায় আছি বলে খুব খারাপ?” মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর পরিবারের সকলে তৃণমূল স্তরে কাজ করেন। কেউ বিধায়ক, সাংসদ হয়ে যায়নি এমনি এমনি। তাঁর কথায়, “একজন (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) শুধু নির্বাচনে জিতে এসেছে। একজনই তো। আপত্তি কোথায়?”
[আরও পড়ুন: কথা রাখেনি বিজেপি! স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে অস্ত্রোপচার করে সুস্থতার পথে হুগলির শ্রমিকের স্ত্রী]
সংখ্যালঘু প্রশ্নও উঠেছে সাক্ষাৎকারে। সেখান ফুরফুরার আব্বাস সিদ্দিকির প্রসঙ্গ এসেছে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “ওরা সবাই আমার সঙ্গে আছে। আমার ভোট কমবে না। উলটে বাড়বে।” মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, “এই ভোট মোটেই কঠিন নয়। বিহার, ত্রিপুরা, কেরলে যেমন সিপিএম (CPM) কঠিন লড়াই করে, এখানে তেমন নয়। কংগ্রেস (Congress), সিপিএম ভাল করে লড়তে চাইলে লড়ুক। তাঁর অভিযোগ, “বিজেপিকে মদত দিচ্ছে ওরা। আমি ১১০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী। আগের দুই নির্বাচনের থেকে বেশি আসন পাবই। ২২১-এর কম আসন পাব না।”