সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমি তো সিপিএম ক্যাডারদের চাকরি খাইনি। তাহলে তোমরা কেন খাচ্ছ?’ নিয়োগ দুর্নীতি প্রশ্নে ফের বাম আমলকে ‘ঢাল’ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে যেমন দাবি করলেন, তাঁর আমলে বামেদের থেকে সরকারি কর্মীদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে, অন্যদিকে তেমনি অভিযোগ করে গেলেন, সিপিএম আমলেও দলীয় ক্যাডারদের চাকরি দেওয়া হত।
বস্তুত, সিপিএম আমলে শুধু দলীয় ক্যাডারদের চাকরি দেওয়া হত, সেই অভিযোগ মমতা আগেও করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যেই অলেছেন, বাম আমলে পার্টি হোলটাইমারদের বাড়ির সদস্যদের সরকারি চাকরি দেওয়া প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে গিয়েছিল। এমনকী সিপিএমের দলীয় মুখপত্র ‘গণশক্তি’র কর্মীদের বাড়ির সদস্যদের চাকরির প্রসঙ্গও আগে তুলেছেন মমতা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক দলীয় নেতার নাম জড়ানোয় তৃণমূল যখন খানিকটা ব্যাকফুটে, তখনই বাম আমলের ‘ক্যাডাররাজ’ প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তুলে কিছুটা ভাবমূর্তি বাঁচানোর চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যেন বোঝানোর চেষ্টা করে গেলেন, সিপিএম আমলের দুর্নীতিকে তিনি প্রশ্রয় দিয়েছেন। অথচ, তাঁর আমলে অহেতুক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল-শান্তনু]
মঙ্গলবার আলিপুর কোর্টের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গেল, ‘ওদের দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কাড়বার ক্ষমতা আছে। আমি কোনও সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খায়নি, তোমরা কেন খাচ্ছো। কেউ যদি নিচুতলায় অন্যায় করেও থাকে, আমি ন্যায়ের পথে থাকব। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এটা আমার স্বভাব।’ এদিনও মুখ্যমন্ত্রী নাম না করেছেন নিশানা করেছেন বামেদের আইনজীবী নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ‘PIL (জনস্বার্থ মামলা) আসলে এখন পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশনের জায়গায় পলিটিক্যাল ইন্টারেস্ট লিটিগেশনে পরিণত হয়েছে। কিছু কিছু লোক আছে রাজনীতির জন্য রোজ মামলা করছে।’
[আরও পড়ুন: SSC Scam: ইডি দপ্তরে আড়াই ঘণ্টা জেরা, বেরিয়ে কী জানালেন বনি সেনগুপ্ত?]
বাম শিবির অবশ্য পালটাও দিচ্ছে। কোনও কোনও বাম সমর্থক প্রশ্ন তুলেছেন, “আগের আমলকে কাঠগড়ায় তুলতে গিয়ে কোথাও কি মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিলেন যে তাঁর আমলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন চাকরি হারাদের পাশেও দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে। সেটা নিয়েও কটাক্ষ আসছে বিরোধী শিবির থেকে।