ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আরও একবার তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ার পরই ফের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নাম না করেই বলে দিলেন, যিনি নিজেকে সবজান্তা মনে করেন, তিনি এটা জানেন না যে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া যখন খুশি যে কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের তলব করা যায় না। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালকে ‘ঘোড়ার পাল’ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি মমতা।
বুধবার তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এই মঞ্চে ফের প্রকট হল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। ইতিমধ্যেই রাজ্যপালকে সরানো নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কাছেও ধনকড়কে নিয়ে নালিশ জানান তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন মমতা বলেন, “মা ক্যান্টিন চলছে, মানুষ ৫ টাকায় খেতে পাচ্ছে, তাতেও সমস্যা। বারবার শুধু জিজ্ঞেস করবে, কে সিদ্ধান্ত নিল, কী করে হল। আমার নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। কেন? জীবনে তো কখনও কাউন্সিলরও হওনি।”
[আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তলব, রক্ষাকবচের আবেদনে হাই কোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত]
এরপরই যোগ করেন, “সব অফিসার, আমলাদের ডাকছে। কখনও সিপিকে ডাকছে, কখনও সিএসকে ডাকছে। কোনও কাজ নেই, সবজান্তা। অথচ এটাই জানে না যে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া অফিসারদের এভাবে ডাকা যায় না। সবার ১১৯ (ভারতীয় দণ্ডবিধি) কেড়ে নিয়েছ। আর এখন আর্টিক্যাল দেখাচ্ছে।”
এখানেই শেষ নয়, সাধারণতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2022) উল্লেখ করে রাজ্যপালকে ‘ঘোড়ার পাল’ বলেও তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। বলে দেন, “ঘোড়ার সামনে ঘোড়ার পাল। বিজেপি এখানে দিয়েছে ঘোড়ার পাল। একদল ঘোড়ার পাল রাজ্য শাসন করতে পাঠিয়েছে। কথাটা মনে হয়েছিল ২৬ জানুয়ারি।” ধনকড়কে ‘পেগাসাসের আরেক বন্ধু’, ‘ছোট দালাল’ বলেও তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি।