সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাধিক ইস্যুতে রাজনীতিকদের বাকতরজায় জড়িয়ে পড়া নতুন নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে আক্রমণের ঝাঁজ যেন ততই বাড়ছে। তবে রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল ডঃ সি ভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে একেবারে উলটপুরাণ। শাসক-বিরোধী বাকতরজা নয়। পরিবর্তে ধরা পড়ল সৌজন্য বিনিময়ের ছবি।
নতুন রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে। শপথ নেওয়ার পর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। আবার তেমনই ছিলেন সিপিএম নেতা তথা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose)। বর্ষীয়ান নেতাকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বিমানদা কেমন আছেন? পিছনে বসে কেন, সামনে আসুন।” শুধু বলাই নয়। নিজেই চেয়ারও এগিয়ে দেন।
[আরও পড়ুন: সরকার বদল নয়, রাজ্যের সব থেকে বড় চোর ধরা পড়বে! ‘ডিসেম্বর রহস্য’ উন্মোচন করলেন শুভেন্দু]
হাত ধরে একেবারে সামনের সারিতে টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয় তাঁদের। সদ্য শপথ নেওয়া রাজ্যপালও বিমান বসুর সঙ্গে হাত নেড়ে সৌজন্য বিনিময় করেন। এর আগেও বাম নেতাদের প্রতি সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। সম্প্রতি মেদিনীপুরের একাধিক সমবায় নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে বাম। তারপরেও বর্ষীয়ান নেতার প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্য বিনিময়কে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও। শপথ নেওয়ার পর নতুন রাজ্যপাল তাঁর দিকে এগিয়ে যান। কথাবার্তাও হয়।
উল্লেখ্য, বুধবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন অন্যান্য মন্ত্রী, বিধায়ক, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ১০ টা বেজে ৪৫ মিনিটে রাজভবনের শপথ গ্রহণ কক্ষে উপস্থিত হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপালকে। এরপরই অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন রাজ্যপাল। মিষ্টির হাঁড়ি দিয়ে রাজ্যপালকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।