কুণাল ঘোষ, মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী: স্পেন। নামটা শুনলে প্রথমে যে কটা জিনিস মাথায় আসে, তার মধ্যে অবশ্যই থাকবে স্প্যানিশ ফুটবল। বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদের দেশ যেন বিশ্ব ফুটবলের পীঠস্থান। বছর কয়েক আগেও সেদেশের ফুটবলগ্রহের বাসিন্দা ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং লিওনেল মেসিদের মতো মহাতারকারা। বস্তুত, বঙ্গবাসীর মতো স্প্যানিশরাও ফুটবল অন্তপ্রাণ। দু’দেশের ফুটবলপ্রেমীদের আবেগের জায়গাটা একই। পার্থক্য শুধু খেলার মানে। কলকাতার ফুটবলের থেকে স্প্যানিশ ফুটবল এগিয়ে কয়েকশো যোজন। দু’দেশের ফুটবল মানের এই পার্থক্য ঘোচাতে এবার একযোগে সচেষ্ট বাংলার ‘দিদি’ এবং ‘দাদা’।
‘দিদি’ অর্থাৎ রাজ্যের শ্রদ্ধেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘দাদা’ অর্থাৎ বঙ্গ ক্রীড়াজগতের সবচেয়ে বড় আইকন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। এই মুহূর্তে তাঁরা দু’জনেই মাদ্রিদে। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছেছেন বুধবার বিকালে। আর সৌরভ পৌঁছেছেন বুধবার রাতে। উদ্দেশ্য, বঙ্গ ফুটবলের উন্নতিকল্পে লা লিগা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা। কীভাবে বাংলায় ফুটবলের পরিকাঠামোর আরও উন্নতি করা যায়, ইউথ ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে তৃণমূল স্তরের ফুটবলার তুলে আনার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা দরকার, সবটা জেনে নিতে চাইছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: G-20 সম্মেলনের সফল আয়োজনের নেপথ্য মোদি, ফুলের বৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত বিজেপির]
বাংলা এবং স্পেনের খেলার জগতের যে মেলবন্ধন, তাকে পরিকাঠামোয় পরিণত করে বাংলাকে যাতে সমৃদ্ধ করা যায়, সেই অভিযানেই কাজ শুরু করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ লা লিগার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক। বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ লা লিগার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের তেবাসের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। আধ ঘণ্টার সেই বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং কলকাতার তিন প্রধানের প্রতিনিধিরা আলাদা করে বৈঠক করবে লা লিগা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সেখানেই আলোচনা হবে বঙ্গ ফুটবলের উন্নতি নিয়ে। সৌরভের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং মেয়ে সানা গঙ্গোপাধ্যায়ও রয়েছেন মাদ্রিদে। লা লিগার অনুষ্ঠানে তাঁরাও থাকবেন।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের জমি থেকে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে CISF-জনতা খণ্ডযুদ্ধ, রণক্ষেত্র দুর্গাপুর]
তবে এই সমন্বয় শুধু ক্রীড়া ক্ষেত্রে হবে, তেমনটা নয়। সংস্কৃতি ক্ষেত্রেও স্পেনের সঙ্গে সমন্বয় চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্রীড়া বৈঠকের আগে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মাদ্রিদ ও কলকাতা বইমেলা কমিটিও আলোচনায় বসবে। দুই কমিটির মধ্যে একটি ‘মউ’ স্বাক্ষরেরও কথা রয়েছে।