ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ৫০ লক্ষেরও বেশি বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে বাংলার সরকার। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমেই সরাসরি আড়াই কোটি মানুষকে সরকারি পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। রাজবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েই খুশির খবরটি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
“পশ্চিমবঙ্গ সরকার সবসময় জনগণের সেবায় ও বাংলার মানুষের সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত করার কাজে নিবেদিত। বাংলার ৫০ লক্ষেরও বেশি গ্রামীণ পরিবারে বিশুদ্ধ কলের জল পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে আমাদের সরকার, এই ঘোষণা করতে পেরে আমি আল্পুত।”, শনিবার টুইটারে লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি এই মাইলফলক অর্জন করতে পারায় বাংলার সমস্ত মানুষ তথা প্রশাসনিক কর্মী-আধিকারিকদের অভিনন্দন জানান।
[আরও পড়ুন: রাতারাতি রং বদল! শুভেন্দুর নাকের ডগায় নন্দীগ্রামের BJP’র কার্যালয় বদলে গেল তৃণমূল অফিসে]
এর আগে জানানো হয়েছিল, রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার সর্বত্র বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যেই আড়াই কোটি মানুষকে সরাসরি এই পরিষেবার আওতায় আনার সরকারের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। তাঁরা মনে করছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) মতো পদক্ষেপ গ্রামের অর্থনীতি বদলে দিয়েছে। তারপর এই বিশুদ্ধ পানীয় জলের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে এর সুফল পাবে তৃণমূল (TMC) সরকার। মানুষের বিপুল সমর্থন আদায় করে নেবে শাসক দল।
৫০ লক্ষ গ্রামীণ পরিবারের জন্য কলের জলের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাতে বাড়িতে বসেই বিশুদ্ধ জল প্রত্যেকে পাবেন বলে জানাচ্ছে রাজ্য। সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, শুধু সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে থাকা নয়, জলের মানোন্নয়নের দিক থেকেও সরকার বেশ যত্নশীল। সারা দেশের মধ্যে যা সর্বাধিক। ২২০টি জল পরীক্ষাগার রয়েছে। যার মধ্যে এনএবিএল অনুমোদিতে পরীক্ষাগারের সংখ্যা ১৪৪। এই সংখ্যাও দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
জলের মান পরীক্ষার জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরে জলের নমুনা সংগ্রহ করেন আশাকর্মীরা। পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে জেলায় জেলায় নির্দিষ্ট কয়েকটি দলও কাজ করছে। এছাড়া তৃণমূল স্তরে ছড়িয়ে থাকা তাদের কর্মী, ভাল্ভ অপারেটর, পাম্প অপারেটরদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার দিকেও নজর দিয়েছে বলে দাবি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের। অপারেটরদের ইপিএফ আর ইএসআইয়ের সুবিধা নিয়েও দফতর যত্নবান বলে জানানো হয়েছে।