নব্যেন্দু হাজরা: বর্ষার (Monsoon) খামখেয়ালিপনায় চলতি বছরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন রাজ্যের কৃষকরা। পুজোর (Durga Puja 2023) আগে এই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। করা হল ঋণ মকুবের ঘোষণা।
পূর্বতন টুইটার তথা অধুনা ‘X’ হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মঙ্গলবার লিখেছেন, “২ লক্ষ ৪৬ হাজার কৃষক বৃষ্টির অভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাঁরা ঋণ শোধ করতে পারেননি। তাঁদের জন্য ১৯৭ কোটি টাকা ঋণ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এঁরা বৃষ্টির ঘাটতির কারণে ধান বপনই করতে পারেননি। এই প্রক্রিয়াটি বাংলা শস্য বিমার অধীনে করা হচ্ছে, যেটি সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের টাকায় তৈরি ফসল বিমা প্রকল্প। আমরা পুরো প্রিমিয়ামের টাকা পরিশোধ করছি। কৃষকদের কিছু দিতে হবে না। ২০১৯ সালে এই প্রকল্পটি তৈরির পর থেকে আমরা ৮৫ লক্ষ কৃষককে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছি।”
[আরও পড়ুন: ‘জঙ্গি বললেও আমরা প্যালেস্টাইনের পক্ষে’, সিপিএমের অবস্থান স্পষ্ট করলেন কারাট]
উল্লেখ্য, চলতি বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও বেশি বৃষ্টির কারণে যেমন চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনই কোথাও কোথাও অনাবৃষ্টির জেরেও ক্ষতি হয়েছে চাষের। এ বছর এরাজ্যেও বৃষ্টি কম হওয়ার দরুন জেলায়-জেলায় ধানের ফলন মারাত্মকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই সমস্ত চাষিদের কথা ভেবেই মুখ্যমন্ত্রীর এই বড় ঘোষণা। পুজোর মুখে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি গ্রামবাংলার কৃষকরা।
নবান্ন সূত্রে খবর, বাংলার ২ লক্ষ ৪৬ হাজার কৃষক চলতি মরশুমে বৃষ্টির অভাবের কারণে ধান চাষ করতে পারেননি। তাই বাংলা শস্য বিমা-র অধীনে চাষিদের ১৯৭ কোটি টাকা ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে বাংলা শস্য বিমা চালু হয়েছে। কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, মূলত বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশ কৃষকই সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।