ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে কার্যত সবুজ ঝড়। চমকপ্রদভাবে ৪২ আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে গিয়েছে ২৯টি। বিজেপি গুটিয়ে গিয়েছে ১২টি আসনে। অভাবনীয় সাফল্য। কিন্তু তাতেও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ রাজ্যের শাসকদল। এত সাফল্যের মধ্যেও যে সব এলাকায় খারাপ ফলাফল হয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে বাড়তি নজর দিচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রীদের সেই নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
বুধবার লোকসভা নির্বাচনের পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকের শেষদিকে মমতা মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন, যে সব এলাকায় লোকসভায় ফলাফল আশানুরূপ হয়নি, বা যেসব এলাকায় শাসকদল পিছিয়ে রয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে মন্ত্রীদের। দিন দুই আগে রাজ্যের পুরপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে রীতিমতো কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মন্ত্রীদেরও বুঝিয়ে দিলেন যে সব এলাকায় মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেয়নি, সেই এলাকায় কী সমস্যা? কেন মানুষ শাসকদলকে বেছে নিল না, সেটা নজর রাখতে হবে মন্ত্রীদেরই।
[আরও পড়ুন: ‘সংবিধান নিয়ে ড্রামার জবাব দেবে এমার্জেন্সি’, ফের রণংদেহী কঙ্গনা]
মুখ্যমন্ত্রী এদিন মন্ত্রীদের স্পষ্ট নির্দেশ দেন, সবাইকে জনসংযোগে নজর দিতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে। যে সব এলাকায় ফল খারাপ হয়েছে, সেখানেও মানুষের পাশে থাকতে হবে। মমতার সাফ কথা, 'মানুষের পাশে থাকতে হবে। মানুয়ের জন্য কাজ করতে হবে। নাহলে ভোটে জেতা যাবে না। আগামী দিনে এটা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে ।' এদিনের বৈঠকে কোচবিহারে ভালো ফলের জন্য মন্ত্রী উদয়ন গুহর (Udayan Guha) প্রশংসাও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: পুরুষরা সাবধান! বদলা নিতে আসছে ‘স্ত্রী’, টিজারেই শিহরণ]
উল্লেখ্য, ২০২৪ লোকসভার (Lok Sabha 2024) ফলাফলকে বিধানসভার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল এগিয়ে আছে ১৯২ আসনে। বিজেপি এগিয়ে কংগ্রেস এগিয়ে ১১ আসনে, বামেরা একটি আসনে। অন্যদিকে, গেরুয়া শিবিরের অবনতি হয়েছে। চব্বিশের ভোটে মাত্র ৯০ বিধানসভায় এগিয়ে বিজেপি। রাজ্যের শহরাঞ্চলে এবার তুলনায় খারাপ ফল হয়েছে শাসকদলের। সেই সব এলাকা নিয়েই শাসকদলের অন্দরে টেনশনের চোরাস্রত বইছে।