সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নজরে একুশের নির্বাচন (Assembly Election 2021)। তার আগে রণকৌশল স্থির করতে কালীঘাটে কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দিলেন তিনি।
শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলের (TMC) অন্দরে চাপানউতোরের শেষ নেই। বেড়েই চলেছে ‘বেসুরো’দের তালিকা। বারবার একের পর এক তৃণমূল নেতা-নেত্রী দলবিরোধী মন্তব্য করে চলেছেন। সম্প্রতি কেউ ছাড়ছেন মন্ত্রিত্ব। আবার কেউ ছাড়ছেন বিধায়ক পদ। দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন অনেকেই। আবার শোনা যাচ্ছে রবিবারের অমিত শাহের সভাতেও নাকি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee), বৈশালী ডালমিয়া (Baishali Dalmia)-সহ বেশ কয়েকজন যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। যার ফলে অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। তাই এদিনের বৈঠকে বেশ কয়েকটি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী। সূত্রের খবর, ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনও মন্তব্য করতেও বারণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যতদিন পর্যন্ত না নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয়, আপাতত ততদিন মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে প্রচারের কথা বলেছেন। প্রত্যেকের কাছে পৌঁছনোর বার্তাই দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: একাধিক সভামঞ্চ থেকে কুকথা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিস শুভেন্দুর]
এদিন বৈঠক শেষ করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) দলের তরফে কৃষি আইন নিয়ে অনমনীয় মনোভাবের নিন্দা করেন। সাধারণতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় কৃষকদের আন্দোলনের ঘটনায় বিজেপি ঘনিষ্ঠ একজন জড়িত রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন। রাষ্ট্রপতি এদিন কৃষি আইনকে সম্মান জানান। তবে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে সম্মান জানিয়েও কৃষি আইনের সমর্থনের সমালোচনা করেন সৌগত রায়। আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে তৃণমূল রয়েছে বলেও আরও একবার জানান তিনি। এছাড়াও তিনি জানান, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি বাজেট পাশ হবে। বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলা কার দখলে থাকে, সে উত্তর পাওয়ার জন্য এখনও অপেক্ষা করতে হবে। তবে তার আগে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ শাসক-বিরোধী উভয়েই।