সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, মমতাই ভরসা। সমস্যা যা-ই হোক, মুশকিল আসান করবেন দলনেত্রীই। এই আশা নিয়ে আর তৃণমূল সুপ্রিমোর নামে স্লোগান তুলেই বুধবার সব পথ এসে মিশেছিল ধর্মতলায়। রোদ-ঝড়-জল উপেক্ষা করে যেখানে নেতা-কর্মীরা পৌঁছে গিয়েছেন, সেখানে দলনেত্রীই বা পিছিয়ে থাকেন কীভাবে? প্রবল বৃষ্টির মাঝেও থামালেন না ভাষণ। আর সেই সৌজন্যেই আরও একবার অগণিত মানুষের ভালবাসা জিতে নিলেন মমতা।
তিনি জনগণের নেত্রী। সাধারণের সঙ্গে যেভাবে মিশে যেতে পারেন, তা এককথায় অতুলনীয়। পাহাড় সফরে রাস্তার ধারে কখনও মোমো বানিয়ে ফেলেন তো কখনও ঠিক পাশের বাড়ির মেয়েটির মতো চায়ের দোকানে ঢুকে চা বানান। তাঁর জনপ্রিয়তার কাছে ধোপে টেকে না বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের উপস্থিতি। এমনকী নিজের দলের কর্মীরাও তাঁর এই সাদামাটা, নিরাড়ম্বর জীবনযাপন থেকে শিক্ষা নেন। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে বিরোধী দলনেত্রী হিসেবে মাটির কাছাকাছি লড়াই করেই তিনি রাজ্যবাসীর মন জিতেছিলেন। দীর্ঘ ১২ বছর রাজ্যের মসনদে থেকেও তাঁর সেই ভাবমূর্তির কোনও বদল ঘটেনি। আরও তিনি মাটির মানুষ। আজও জনদরদী নেত্রী হিসেবেই নিজেকে তুলে ধরতে ভালবাসেন তিনি। আর তাই বৃষ্টি হলে নিরাপত্তারক্ষীকে মাথায় ছাতা ধরতে বলেন না।
[আরও পড়ুন: ‘চেয়ারের কেয়ার করি না, ইন্ডিয়ার পাশে সৈনিক তৃণমূল’, একুশের মঞ্চে বার্তা মমতার]
এদিন বক্তৃতা চলাকালীনই একটা সময় ঝেঁপে বৃষ্টি নামে। মঞ্চে বসে থাকা প্রায় সকলেই ছাতা খুলে বসেন। কিন্তু মমতা একইভাবে নিজের ভাষণ চালিয়ে যায়। মাঝে মাঝে শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখের বৃষ্টির জল মুছে নেন। তারপর দৃঢ় কণ্ঠে বিজেপিকে নিশানা করেন।
চব্বিশের লোকসভায় বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ লড়াই করবে বিজেপির বিরুদ্ধে। বলে দেন, জোটের শরিক হয়ে কোনও পদ চান না। শুধু কেন্দ্রের মোদি সরকারকে হারানোই লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যে রাজ্যবাসীকে পাশে চাইলেন তিনি। বৃষ্টিভেজা মঞ্চ থেকে ঐক্যবদ্ধ ‘ইন্ডিয়া’র বার্তা দিলেন। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে জেতানোর জন্য ধন্যবাদ জানালেন মমতা। আর আবেগে ভাসলেন তাঁর অনুরাগীরা।