shono
Advertisement

সংহতির বার্তা দিতে আজ রাজপথে মমতা

কোনও রাজনৈতিক নেতা নন, সংহতি মিছিলে থাকবেন সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।
Posted: 08:27 AM Jan 22, 2024Updated: 08:31 AM Jan 22, 2024

স্টাফ রিপোর্টার: সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা নিয়ে আজ পথে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়। আজ, সোমবার কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে হাজরা থেকে এই সংহতি মিছিল শুরু করবেন তৃণমূলনেত্রী। যার পুরোভাগে কোনও রাজনৈতিক নেতা নয়, থাকবেন সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। পুরোহিত, মোয়াজ্জেম, শিখ গুরু, গির্জার ফাদার প্রত্যেকে সামনে থেকে এই মিছিলকে নেতৃত্ব দেবেন। মিছিল শেষ হবে পার্ক সার্কাসে। কয়েক হাজার মানুষ এই মিছিলে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। তাঁদের বড় অংশকে মমতা প্রথমেই পার্ক সার্কাস ময়দানে পৌঁছে যেতে বলেছেন। সেখানে যে মঞ্চ তৈরি হয়েছে তাকেও সর্বধর্ম সমন্বয়ের রূপ দেওয়া হয়েছে। সেখানে যে জনসভায় বক্তব‌্য রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়, সেই মঞ্চেও কোনও রাজনৈতিক নেতা থাকবেন না।

Advertisement

এই সংহতি মিছিলের প্রাক্কালে রবিবার নিজের এক্স হ‌্যান্ডলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়ে পোস্ট করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ‌্যায়। অভিষেক লিখেছেন, “মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার যা-ই হোক, ঘৃণা, হিংসা ও নিরীহ মানুষের মৃতদেহের উপর তৈরি কোনও উপাসনাস্থল মেনে নিতে আমার ধর্ম আমায় শেখায়নি।” রামমন্দিরকে সামনে রেখে যেভাবে দেশজুড়ে প্রচারে নেমেছে বিজেপি, তার সামনে সোশ‌্যাল মিডিয়ায় অভিষেকের এই বার্তা অত‌্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

আজ সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা কীভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরবেন মমতা? অযোধ‌্যায় আজ রামমন্দির প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির জন‌্য দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা হয়েছে। সেই ক্ষণ শেষ হওয়ার আগে কোনও কর্মসূচি নয়। দুপুর তিনটে থেকে নিজের কর্মসূচি শুরু করছেন তৃণমূলনেত্রী। নিজেই ইতিপূর্বে সে কথা জানাতে গিয়ে বলেছিলেন, রামমন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে তিনি কিছু বলবেন না। বলেছিলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমি সর্বধর্ম সমন্বয়ের মিছিল করছি। সেখানে থাকবেন সমস্ত ধর্মের মানুষ। তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানিয়ে হবে আমাদের কর্মসূচি।’ এই কর্মসূচিতে ইতিমধ্যে বাউল, মুরশিদি ও ফকিরি গানের একাধিক গোষ্ঠী ও শিল্পীরাও অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন। থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সদস‌্যরা।

[আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ শুনেই মেজাজ হারালেন রাহুল! ‘হিন্দুবিরোধী’ বলে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির]

কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে হাজরা মোড় থেকে সংহতি মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন মুখ‌্যমন্ত্রী। কালীঘাটের পর তিনি বালিগঞ্জের গড়চায় গুরুদ্বারে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন। ফিরে আবার মিছিলে অংশ নিয়ে বালিগঞ্জ ফাঁড়ির রাস্তা ধরে সোজা আসবেন পার্ক সার্কাস। সেখানে কাছাকাছির মধ্যে একটি গির্জা ও মসজিদে শ্রদ্ধা জানাবেন। এছাড়া ওইদিন রাজ্যের সমস্ত মসজিদ, গির্জা এবং গুরুদ্বারে যাতে প্রার্থনা হয় তারও ব‌্যবস্থা করা হচ্ছে। নিজে বেশ কিছু জায়গায় পুজো পাঠাচ্ছেন মমতা। কলকাতায় মহামিছিলের পাশাপাশি জেলায় ও ব্লকে একইভাবে সর্বধর্ম সমন্বয়ের মিছিল হবে। স্থানীয় সেইসব মিছিলেও সেখানকার সর্বধর্মের প্রতিনিধিরা পা মেলাবেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায় দীর্ঘদিন বাদে কলকাতার রাস্তায়। অসংখ‌্য সাধারণ মানুষ সেই মিছিলে পা মেলাবেন। তবে তাঁর দলের কর্মীরাও অনেক দিন পর তাঁকে সামনে পাবেন। ফলে তাঁরাও সর্বশক্তি দিয়ে নামবেন। তবে এর সঙ্গেই নেত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, কোথাও কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না হয় সেদিকে সর্বস্তরের নেতৃত্বকে নজর রাখতে হবে। নজর রাখবেন তিনি নিজেও। রামমন্দিরকে সামনে রেখে যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় রাজনীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা, তার সামনে তৃণমূলনেত্রীর এই সংহতি মিছিল থেকে যে অন‌্য তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা উঠে আসবে তা স্পষ্ট।

[আরও পড়ুন: কমোড লাগবেই! জেলে অদ্ভুত ‘আবদার’ শংকরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement