সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। ভরাডুবির পরেও ‘সরকার ফেলে দেওয়া’র হুঁশিয়ারি দেয় বিজেপি। এই হুমকিতেই আপাতত সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার এই ইস্যুতে সুকান্ত মজুমদার, শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। “বলুন আগে বালতি ফেলতে, তারপর সরকার উলটোতে আসবে”, কটাক্ষ তাঁর।
বিতর্কের সূত্রপাত গত শনিবার রাতে। দলীয় এক অনুষ্ঠানে শান্তনু ঠাকুর আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে সরকার পড়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। রবিবার তাঁকে সমর্থন করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেন, ‘‘সরকার পাঁচ মাস-ছ’মাস যখন খুশি পড়ে যেতে পারে। অসুবিধার তো কিছু নেই। সরকার কী ভাবে চলে? বিধায়কদের সমর্থনে। বিধায়কেরা হঠাৎ মনে করল, আমরা সমর্থন করব না। আমরা অন্য কাউকে সমর্থন করব। বিধায়কদের তো মনে হতেই পারে। না হওয়ার তো কিছু নেই। আবার ধরুন, এমন গণআন্দোলন শুরু হল যে বিধায়কেরা বলল আমরা আজ থেকে আর বিধায়ক পদে থাকব না।’’ সত্যি কী তেমন সম্ভাবনা রয়েছে? সে প্রশ্নেরও ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব দেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, “সব সম্ভাবনাই আছে। রাজনীতিতে কোনও সম্ভাবনা অস্বীকার করা যায় না।”
[আরও পড়ুন: ফের তারিখের রাজনীতি! মহামিছিল থেকে ১২০ কোটির দুর্নীতি ফাঁসের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর]
বুধবার এসএসকেএম হাসপাতালে জখম দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই ইস্যুতে প্রথমবার মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝে তিনি বলেন, “বলুন আগে বালতি ফেলতে, তারপর সরকার উলটোতে আসবে। কাল থেকে তো ভয়ে থর থর করে কাঁপবে।” বেঙ্গালুরুতে বিরোধী বৈঠক সেরে কলকাতায় ফিরে মমতার এই চ্যালেঞ্জ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।