সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যায় যাত্রায় রাহুল গান্ধীর গাড়ির কাচ ভাঙার নিন্দায় সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “এধরনের ঘটনার নিন্দা করি। কারও উপর আক্রমণ হলেই নিন্দা করি।” রাজনৈতিক দূরত্ব থাকলেও গণতান্ত্রিক দেশে সৌজন্যের রাজনীতি ভোলেননি তৃণমূল সুপ্রিমো, তা এদিন আরও একবার স্পষ্ট করলেন মমতা। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিলেন, রাহুলের গাড়ির কাঁচ বাংলায় ভাঙেনি। বরং বিহারের কাটিহারে কাঁচ ভেঙে যায়। পুরো বিষয়টি নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।
বুধবার বিহার থেকে বাংলায় ঢুকেছে রাহুলের ন্যায় যাত্রা। মালদহে ঢুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, ঢিল মেরে না কি রাহুল গান্ধীর গাড়ির কাচ ভাঙা হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি। অধীরের কথায়, ”বুঝে নিন, কারা হামলা চালিয়েছে। আমরা এখানে জানি, অতিথি দেব ভব। কিন্তু বাংলায় রাহুল গান্ধীর যাত্রা ঢোকার পর থেকেই বাধা দেওয়া হচ্ছে।” ঘুরিয়ে তিনি তৃণমূলকে নিশানা করতে চেয়েছেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলে। এর পরই গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর দাবি খারিজ আদালতের, জমি বিতর্কে জয়ী অমর্ত্য সেন]
বহরমপুরের সভার শেষদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”হেলিকপ্টারে আসতে আসতে আমি একটা মেসেজ পেলাম। কংগ্রেসের এক নেতা নাকি…’’ একটু থেমে তিনি আবার বলেন, “রাহুলের নামটা বলেই দিই। ও আমার চেয়ে বয়সে ছোট। ওর গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমি এ সব পছন্দ করি না। তবে পরে শুনলাম, ওটা কাটিহারের (বিহার) ঘটনা।” তিনি স্পষ্ট করে দেন, কাচ ভাঙা অবস্থায় গাড়িটি রাজ্যে প্রবেশ করে। সুতরাং এখানে কিছু ঘটেনি। এর পরই নীতীশ কুমারের জেডিইউ-বিজেপির জোটকে নিশানা করেন মমতা। তাঁর কথায়, “বিহারে সবে নীতীশ কুমারের দল বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। সবাই এক হয়েছে। ওদের রাগ আছে। তাই এসব হতে পারে।” উল্লেখ্য, অধীর অভিযোগ করলেও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব কিন্তু এ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি। বরং জোটধর্মই পালন করেছে তারা।