সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৈরাজ্য থেকে মুক্তি দিতে বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. মহম্মদ ইউনুস। শুক্রবার তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে তাঁর আশা, দ্রুত সংকট কাটবে। শান্তি ফিরবে। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, 'প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকব।'
হাসিনা অধ্যায় একেবারে শেষ। বাংলাদেশে গঠিত হল অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান হিসেবে শপথ নিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ মহম্মদ ইউনুস। ঢাকার বঙ্গভবনে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ করান। ইউনুসের সঙ্গে শপথ নেন আরও ১৩ জন। তিনজন শপথ নিতে পারেননি। সবমিলিয়ে ইউনুসের নেতৃত্বে মোট ১৬ জন সদস্য থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারে। এই সরকার গঠন নিঃসন্দেহে ভারত সরকার এবং বাংলার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শপথ নেওয়ার পরই শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বার্তা দিয়েছিলেন, সে দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের রক্ষা করার। এদিন বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: নেওয়া হবে না গান স্যালুট, বুদ্ধবাবুর ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে সিদ্ধান্ত আলিমুদ্দিনের]
এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস-সহ বাংলাদেশে যাঁরা কার্যভার গ্রহণ করেছেন, তাঁদের প্রতি আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো। আশা করি, তাঁদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো উন্নত হবে।' বাংলাদেশের শান্তি ফেরার কামনা করে, শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লেখেন, 'বাংলাদেশের উন্নতি, শান্তি, প্রগতি ও সর্বস্তরের মানুষের আরো ভালো হোক - এই কামনা করি। ওখানকার ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক, মহিলা থেকে শুরু করে সকলের প্রতি আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।' শেষে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন মমতা। লিখেছেন, 'আশা করি, খুব শীঘ্রই সংকট কেটে যাবে, শান্তি ফিরে আসবে। শান্তি ফিরে আসুক তোমার-আমার এই ভালোবাসার ভুবনে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভালো থাকলে, আমরাও ভালো থাকবো।'
তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেশের পূর্ব দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে ৪ হাজার ৯৬ কিমি ভাগ করে ভারত। এর মধ্যে অনেকটাই রয়েছে বাংলায়। ফলে সীমান্তর ওপার থেকে সমস্যা চললে তার প্রভাব বাংলায় পড়তে বাধ্য। শরনার্থীর ঢল থেকে জেহাদি অনুপ্রবেশ নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হত। ফলে বাংলাদেশে শান্তি ফিরলে, স্থিতিশীল সরকার গঠিত হলে এ রাজ্য়ের আশঙ্কা কমবে।
[আরও পড়ুন: মেনুতে মৌরলা-ইলিশ, কুমড়ো ফুলের বড়া! ‘খাদ্যরসিক’ বুদ্ধবাবুকে স্মরণ পুরুলিয়ার পাচকের]