গৌতম ব্রহ্ম: ১০০ দিনের কাজের টাকা এখনও অমিল। অথচ সেই টাকা শোধ না করে কেন্দ্র রাজনীতি করছে। গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে ঘুরিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আসলে, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন খতিয়ে দেখতে একাধিক জেলায় প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় গ্রামন্নোয়ন মন্ত্রক। মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে যাবে কেন্দ্রীয় গ্রামন্নোয়ন মন্ত্রকের দল। গ্রামের উন্নয়নের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা, আবাস যোজনার বাড়ি যোগ্যরা পাচ্ছেন কিনা, ১০০ দিনের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, সবটাই খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রের এই দল। মঙ্গলবারই নবান্নকে চিঠি দিয়ে একথা জানিয়েছে কেন্দ্র। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই সেই দল রাজ্যে আসার কথা।
[আরও পড়ুন: NIA নাকি CID? বন্দে ভারতে পাথরবৃষ্টির তদন্ত নিয়ে বিজেপির অন্দরেই ভিন্নমত]
বুধবার গঙ্গাসাগরে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সংক্ষেপে বলেন, “রাজনীতি না করে আবাস যোজনার টাকা দিতে বলুন।” আসলে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথ একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের কাজের টাকা। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে কেন্দ্রের কাছে দরবার করেন। একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত এবং গ্রামন্নোয়ন মন্ত্রকে কাছেও দরবার করে রাজ্য সরকার। তাতে জট কাটার ইঙ্গিত মিললেও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি।
[আরও পড়ুন: টেট পরীক্ষার্থীর কাছে ‘পর্ষদ’ থেকে ফোন, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
গত একমাসে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojona) বাড়ি তৈরির জন্য কয়েক হাজার কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য। ১০০ দিনের কাজের কিছু টাকাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা দেওয়ার পিছনেও কেন্দ্রের কৌশল রয়েছে বলে দিন কয়েক আগে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, “অর্থবর্ষের শেষের দিকে এসে টাকা দিলে কাজ কীভাবে হবে? টেন্ডার করতে সময় লাগে না? ডিপিআর করতে সময় লাগে না? অর্থবর্ষের শেষে টাকা পেয়ে কাজ করতে না পারলে তো ওরা বলবে কাজ হয়নি।” এদিন গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে কেন্দ্রকে রাজনীতি না করে ১০০ দিনের কাজের টাকা মেটাতে বললেন, তাতে বোঝা গেল কেন্দ্রের এই আচরণে দৃশ্যতই তিনি বিরক্ত।