সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারে বাকযুদ্ধ বড়সড় হাতিয়ার। বঙ্গে বিধানসভা ভোটের (WB Assembly Election) সেই বাকযুদ্ধ আরও জমে উঠছে। বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুটিকে রীতিমতো নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন, ”সরকার চালাচ্ছে একটা দৈত্য, আরেকটা দানব। একটা হোঁদল কুতকুত, আরেকটা কিম্ভূত কিমাকার।” মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এহেন ভাষায় দেশের প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে সমালোচনা। রাজনীতির ময়দানে এ ধরনের ভাষার প্রয়োগ ক্রমশই বাড়ছে বলে উদ্বিগ্ন বিশিষ্ট মহলও।
একুশে বঙ্গ দখলের লক্ষ্যে যেমন মরিয়া বিজেপি, তেমনই রাজ্যের দখল রাখতে নিজেদের প্রস্তুতিতে এতটুকুও ত্রুটি রাখছে না ক্ষমতাসীন সরকার। মোদি-শাহ (Narendra Modi-Amit Shah) ব্রিগেডের সদস্যদের বাংলায় আনাগোনা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অস্ত্রেও শান দিচ্ছেন। মোদি কিংবা অমিত শাহ যতবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নানা ইস্যুতে বিঁধছেন, জবাবি সভা থেকে ততই পালটা জবাবও দেওয়া হচ্ছে। এদিন হুগলির সাহাগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কড়া কড়া ভাষায় তাঁদের আক্রমণ করলেন। মোদির নাম নিয়ে সরাসরি তাঁর কটাক্ষ, ”গায়ে ময়লা লেগে রয়েছে।” ‘পাজি’ বলে তাঁদের কটাক্ষ করে মমতার আরও আক্রমণ, ”১৮ টি আসন পেয়েই নাচানাচি করছে। হুগলিতে সবকটা আসন তৃণমূল জিতবে।”
[আরও পড়ুন: ঘরের বউকে কয়লা চোর বলছে! রুজিরাকে সিবিআই জেরা নিয়ে তীব্র আক্রমণ মমতার]
কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা দলকে বিঁধতে গিয়ে এদিন নিজের দলের শক্তির কথাও উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদ, মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থার নানা পদক্ষেপ নিয়ে তাঁর হুঁশিয়ারি, ”কতজনকে গ্রেপ্তার করে দেখব। তাঁরা জেল ফুটো করে, দেশ ফুটো করে বেরিয়ে আসবে। তৃণমূল কংগ্রেসের ২০ লক্ষ কর্মী রয়েছে। আমাকে যদি আদি সপ্তগ্রামে গাছ করে পোঁতেন, তাহলে আমি দিল্লিতে গিয়ে উঠব।” এরপর তিনি আরও বলেন, ”নরেন্দ্র মোদিজি ও আপনার দানব বন্ধু – আপনারা বড্ড বেশি কথা বলছেন। দুটো মাস সহ্য করতে হবে। তারপর দেখব ফ্যাসিবাদ কোথায় থাকে?”