সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বার বার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার দাবিতে সুর চড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী-সহ একাধিক নেতা-মন্ত্রী। দিল্লিতে বসে পালটা CAG রিপোর্ট উল্লেখ করে বকেয়া টাকা কেন বন্ধ, তা স্পষ্ট করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সর্বভারতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া। তার পরেও বুধবার হাওড়ার সাঁতরাগাছির প্রশাসনিক সভা থেকে ফের বঞ্চনার প্রতিবাদে সুর চড়ালেন মমতা। ১০০ দিনের প্রকল্পে বাংলা এক নম্বরে থাকায় টাকা বন্ধ বলেই দাবি তাঁর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বার বার জানানো সত্ত্বেও বকেয়া ফেরত পাননি বলেই দাবি মমতার। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রীকে অনেকবার বলেও লাভ হয়নি, ৩ বছরের ১০০ দিনের কাজের টাকা মেলেনি। ২১ লক্ষ শ্রমিক টাকা পাননি। কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দিয়েছেন। টাকা আমরা পাঠাতে শুরু করেছি। অভিষেকের নেতৃত্বে বঞ্চিতরা দিল্লি গিয়েছিলেন। ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বাসে করে গিয়েছিল। আমি ৪৮ ঘণ্টা অনশন আগে করেছিলাম। আবার করেছিলাম। আমি গরিব মানুষের জন্য। সাধারণ মানুষের জন্য কিছু মনে করতে পারলে ধন্য মনে করি।”
[আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ের মহিলাকে লাগাতার ধর্ষণ, গরম ডাল ঢেলে সপ্তাহভর শারীরিক অত্যাচার ‘বন্ধু’র!]
কেন একাধিক প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্র, তার কারণও স্পষ্ট করে মমতা বলেন, “আমরা MSME, স্কিল ইন্ডাস্ট্রি, গ্রামীণ রাস্তা, ১০০ দিনের কাজ, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে এক নম্বরে। তাই প্রকল্পগুলি বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের টাকাও দেওয়া হল না।” কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারির সুরে মমতা আরও বলেন, “মনে রাখবেন বাংলা মাথানত করে না।”
প্রাপ্য টাকা না পাওয়ার পরেও কীভাবে সরকার চালাচ্ছেন তিনি, তাও জানান মমতা। বলেন, “বাংলার মা-বোনেরা বিপদে পড়লে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে টাকা বের করেন। মনে রাখবেন আমাকেও সরকার চালাতে হয়। সংসার চালাতে হয়। যখন প্রাপ্য টাকা পাই না, প্রাপ্য টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয় তখন মা-বোনেরা যেভাবে সংসার চালান আমিও চালাই।” রাজ্যবাসীকে মমতার আশ্বাস, “আমি কাউকে বঞ্চিত হতে দেব না। চিরকাল লড়াই করে যাব।”