সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে ন্যায় বিচারের দাবিতে কয়েকদিন ধরে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে। যার জেরে ব্যাহত রোগী পরিষেবা। প্রবল ভোগান্তির শিকার রোগীরা। স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে রোগী হয়রানি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, "কোনও পরিস্থিতিতেই রোগীদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা যায় না। জেলার হাসপাতালগুলোকে বলব যেন আপাতত রোগীদের রেফার না করা হয়।"
আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে চিকিৎসককে যৌন হেনস্তা ও খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল রাজ্য। অধ্যক্ষ অপসারণ-সহ একাধিক দাবিতে সরব হন জুনিয়র চিকিৎসক, ইন্টার্নরা। কর্মবিরতিতে শামিল হন সকলে। যার জেরে ব্যাহত হয় চিকিৎসা ব্যবস্থা। অধ্যক্ষ অপসারণের পরও চলছে কর্মবিরতি। আন্দোলনরতদের দাবি, ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ আর পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট তাঁদের দেখাতে হবে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতিদের জেরে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বহু রোগী কলকাতা আসেন চিকিৎসার জন্য। অনেকের পক্ষেই সরকারি হাসপাতাল ছাড়া অন্যত্র যাওয়ার সামর্থ্য নেই। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছেন তাঁরা। কিন্তু অনেক সময়ই লাভ হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: আর জি করে হামলার প্রতিবাদে অনশনে জুনিয়র চিকিৎসকরা, ১২ ঘণ্টা বনধ ডাকল SUCI]
বৃহস্পতিবার রাজভবনে যাওয়ার পথে এই নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসেন। পরিষেবা দিতে না পারাটা কাম্য নয়।" এর পরই তিনি বলেন, জেলা হাসপাতালগুলোকে আপাতত রোগী রেফার না করার পরামর্শ দেবেন তিনি। উল্লেখ্য, আন্দোলনকারীদের উপর হামলার ঘটনায়ও মুখ খুলেছেন তিনি। বললেন, "এটা ছাত্রছাত্রীদের কাজ নয়। ওদের উপর কোনও রাগ নেই, আমাদের সমর্থন আছে। কিন্তু আমাদের রাগ যারা এই আন্দোলনের নামে হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঢুকে অশান্তির সৃষ্টি করছে। আমাদের ডিসি অত্যন্ত জখম হয়েছে। ওঁর অনেকক্ষণ জ্ঞান ছিল না। প্রচুর রক্তও বেরিয়েছে।"