সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের নামবদল নিয়ে জল্পনার মধ্যেই মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দেশের ইংরাজি নাম ‘ইন্ডিয়া’ থেকে ‘ভারত’ করা নিয়ে যে জল্পনা শুরু হয়েছে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা।
মঙ্গলবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে মমতা বলেন, আজকে তো ইন্ডিয়ার (India) নাম চেঞ্জ করে দিচ্ছে বলে আমি শুনলাম। মাননীয় রাষ্ট্রপতির নামে যে কার্ড হয়েছে, জি-২০-র (G-20) লাঞ্চে না ডিনারে, তাতে লেখা আছে ভারত বলে। আরে ভারত তো আমরা বলি। এতে নতুনত্ব কী আছে?”
[আরও পড়ুন: ‘ইহুদি নিধনের মতোই..’, সনাতন ধর্ম মন্তব্যে স্ট্যালিনপুত্রকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা বিজেপির]
মমতার বক্তব্য, “দেশের নাম ইংরেজিতে আমরা বলি ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়ান কনস্টিটিউশন। হিন্দিতে বলে ভারত কা সংবিধান। ভারত তো আমরাও বলি। ভারত আমার ভারতবর্ষ, স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো। এতে নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু ইন্ডিয়া নামে সারা বিশ্ব চেনে। হঠাৎ এমন কী হল?” বস্তুত দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলি এক ছাতার তলায় এসে যে মঞ্চ তৈরি করেছে, তার নামও ‘ইন্ডিয়া’। আর এই ‘ইন্ডিয়া’ নামটা বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। তার ঠিক পরই কেন দেশের নাম বদলের তোড়জোড়? সে প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। মমতা সরাসরি সে প্রশ্ন না তুললেও ‘ইন্ডিয়া’ নাম বদলের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা।
[আরও পড়ুন: পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ, মণিপুরে সরকারের নিশানায় সংবাদমাধ্যম]
দেশের নাম বদলের জল্পনা শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির তরফে পাঠানো আমন্ত্রণপত্র নিয়ে। ওই আমন্ত্রণপত্রে ইংরেজিতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র (President of India) পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ (President of Bharat) লেখা নিয়ে। যা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। রাইসিনা হিলের তরফে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর আয়োজিত সম্মেলনের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন। সেখানেই লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’।