সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর ফের ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ বলে দিলেন,”উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ (Akhilesh Yadav) মানুষের ভোটে হারেনি। হেরেছে যন্ত্রের কেরামতিতে।” তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, “আমার মনে হয় অখিলেশকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইভিএম নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। ইভিএমে ভোট চুরি হয়েছে।”
শুক্রবার বাজেট বিশ্লেষণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন,”উত্তরপ্রদেশে (UP Election 2022) ঠিকভাবে হিসাব করলে দেখা যাবে বিজেপির আসন অনেক কমেছে। অখিলেশের ভোট শতাংশ অনেক বেড়েছে। আগেরবারের থেকে ৭২টি বেশি আসন ওরা পেয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ওকে একা লড়তে হয়েছে। চক্রব্যুহে ফেলে অভিমন্যু বধের মতো হারানো হয়েছে অখিলেশকে। ভোট লুট হয়েছে। ইভিএম (EVM) সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অখিলেশ যদি হেরেও থাকে সেটা মানুষের ভোটে নয়, মেশিনের কারচুপিতে। যন্ত্রের কারসাজিতে জিতেছে বিজেপি। ইভিএমের ফরেনসিক টেস্ট হওয়া উচিত।” মুখ্যমন্ত্রী বলছেন,”বাংলায় আমরা জিতেছি কারণ আমরা ইভিএম রক্ষা করতে পেরেছিলাম। আমাদের কর্মীরা ইভিএম পাহারা দিয়েছে। দিল্লিতে আম আদমি পার্টিও (AAP) তাই।”
[আরও পড়ুন: ‘সত্যিটা সাহেবও জানেন’, উত্তরপ্রদেশের ফলপ্রকাশের পরই মোদিকে কটাক্ষ প্রশান্ত কিশোরের]
মমতার সাফ জবাব উত্তরপ্রদেশের এই ফলাফলের কোনও প্রভাব ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে পড়বে না। তৃণমূলনেত্রীর বক্তব্য, “এই ফলাফলের প্রভাব ২৪-এর লোকসভায় পড়াটা বাস্তবোচিত নয়। ২৪-এ কী হবে, কে কোথায় থাকবে, তার ঠিক নেই। আমার মনে হয়, চব্বিশে বিজেপিকে (BJP) হারাতে সকলের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কংগ্রেস (Congress) একসময় আমাদের নেতা ছিল, নিজেদের সংগঠনের জেরে গোটা দেশে ওদের প্রভাব ছিল। কিন্তু এখন কংগ্রেসের ইচ্ছাটাই নেই। ওদের উপর ভরসা করা উচিত হয়নি। অনেক আঞ্চলিক শক্তি আছে। সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে।”
[আরও পড়ুন: ড্রোনেই ভবিষ্যতের উড়ান! মধ্যপ্রদেশে খুলল দেশের প্রথম ড্রোন স্কুল]
চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জয়কে হাতিয়ার করে এরাজ্যে হঠাৎ করেই লাফালাফি শুরু করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের উচ্ছ্বাসের আঁচ পৌঁছে যাচ্ছে বিধানসভাতেও। রীতি ভেঙে রাজ্যপালের ভাষণ থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা পর্যন্ত, সব ক্ষেত্রেই বাধা সৃষ্টি করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের এই ‘বাড়াবাড়ি’ নিয়ে কড়া প্রতিক্রয়া মমতার। তৃণমূল নেত্রীর কটাক্ষ, “ক’ টা রাজ্যে জিতে লাফাচ্ছে। ২০২৪ লোকসভা লোকসভা করে ডুগডুগি বাজাচ্ছে। বাংলায় গোহারা হেরেও লজ্জা নেই।”